রক্তের শেষবিন্দু দিয়ে হলেও লড়াই চালিয়ে যাবো

ভারত যদি পাকিস্তানে হামলা চালায় তাহলে রক্তের শেষবিন্দু দিয়ে হলেও লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
মঙ্গলবার কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দিয়ে ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের বিষয়ে সংসদের বিশেষ অধিবেশনে দেয়া বক্তব্যে ইমরান খান এ হুশিয়ারি দেন।

এ সময় ভারতের অপতৎপরতার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়ার ইঙ্গিত দেন তিনি। পাকিস্তানের প্রভাবশালী গণমাধ্যম ডন ও জিয়ো নিউজ জানায়, সোমবার কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দিয়ে ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের পর পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি পার্লামেন্টের উচ্চ ও নিম্নকক্ষের যৌথ অধিবেশন আহ্বান করেছিলেন।

মঙ্গলবার বেলা ১১টায় স্পিকার আসাদ কায়সারের সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হওয়ার পর বিরোধী দলের সদস্যদের বিশৃঙ্খলায় অধিবেশন ২০ মিনিটের জন্য মুলতবি ঘোষণা করা হয়। এরপর কাশ্মীর বিষয়ে বিশেষ অধিবেশন আবার শুরু করেন স্পিকার।

আজাদ কাশ্মীরের প্রধানমন্ত্রী রাজা ফারুক হায়দারও কালোব্যাজ পরে সম্মিলিত অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন। ইমরান খান বলেন, হঠাৎ করেই ভারত এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিষয়টি এমন নয়। বরং এটি নরেন্দ্র মোদির নির্বাচনী অঙ্গীকার ছিল। যা মূলত আরএসএসের দলীয় মিশন।

এমন সিদ্ধান্ত ভারতকে মুসলিমশুন্য করার চক্রান্ত বলেও মন্তব্য করেন তিনি। ইমরান খান বলেন, যখন পুলওয়ামা হামলা হয়েছিল তখনও পাকিস্তানকে দোষারোপ করেছিল ভারত; এ অভিযোগের সত্যতা না থাকা সত্ত্বেও বারংবার পাকিস্তানের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছে মোদি সরকার। কিন্তু তা সত্ত্বেও উইং কমান্ডার অভিনন্দনকে ফেরত পাঠিয়েছি আমরা।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের মতে ভারত শুধু হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বাসস্থান ও এটাই ভারতের শাসক সরকারের রাজনৈতিক মতাদর্শ, এটাই আরএসএস চালিত এক দলের মতাদর্শ। ভারতে এ মুহূর্তে যেমন পরিস্থিতি সেখানে প্রত্যেক ভারতীয় নাগরিক কোনোভাবেই সমান নন।

বিরোধী দলের সদস্যদের প্রতিবাদ

সোমবার পাকিস্তানের পার্লামেন্টের সচিব যৌথ এই অধিবেশনের আলোচ্যসূচি প্রকাশ করেন। এতে তিনি বলেন, আজাদ কাশ্মীরে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ভারতীয় বাহিনীর ক্লাস্টার বোমা ব্যবহার ও উসকানিমূলক গোলা বর্ষণের ব্যাপারে পার্লামেন্টে আলোচনা হবে। এছাড়া ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরে ভারতের নৃশংসতা এবং সাম্প্রতিক অতিরিক্ত সৈন্য সমাবেশের ব্যাপারেও আলোচনা হতে পারে।

আলোচ্যসূচিতে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের বিষয়টি অন্তর্ভূক্ত না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিরোধী সংসদ সদস্যরা। সকাল ১১টায় অধিবেশন শুরু হওয়ার পরপরই পাকিস্তান পিপলস পার্টির সিনেটর রেজা রাব্বানী ৩৭০ অনুচ্ছেদের কথা নির্দিষ্টভাবে উল্লেখ না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ সময় কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী শেখ রশিদও বিষয়টি সমর্থন করেন। এ নিয়ে ক্ষোভ দেখাতে থাকেন পাক পার্লামেন্টের বিরোধী দলের সদস্যরা।

বিরোধী সংসদ সদস্যরা বিক্ষোভ করতে থাকায় সংসদের অধিবেশন ২০ মিনিটের জন্য মূলতবি ঘোষণা করেন স্পিকার।

বার্তা বাজার/কেএ

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর