পৈত্রিক সম্পত্তির ন্যার্য অধিকার ফিরে পাওয়ার দাবীতে সংবাদ সম্মেলন

পিতার রেখে যাওয়া সম্পত্তির ন্যার্য অধিকার ফিরে পাওয়ার দাবীতে সাতক্ষীরায় সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন, শহরের মুনজিতপুর এলাকার মৃত আব্দুল গফুর সরদারের মেয়ে রিজিয়া বেগম।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ২৯ জুলাই ২০১৯ তারিখ সাতক্ষীরা প্রেস ক্লাবে মিথ্যা, বানোয়াট, ভুল তথ্য দিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আমাদের বোন ফিরোজা খাতুন চরম মিথ্যাচার ও ছেলে চাতুরীর আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন আমাদের ছোট ভাই শাহজান কবির (বিসমিল্লাহ ক্লথ ষ্টোর) কর্তৃক পিতার সম্পত্তি ফাঁকি দিয়েছেন। প্রকৃত পক্ষে আমাদের ছোট ভাই আমাদের দাবীকৃত সম্পত্তি বুঝিয়ে দিয়েছেন ২০০৮ সালে। সেই ধরে শহরের মুনজিতপুর ৮ ফ্লাট বিশিষ্ট একটি বিল্ডিং ১০ বোনের দখলে বুঝিয়ে দেন। চার তলার পশ্চিম পার্শ্বের ফ্ল্যাটটিতে বোন ফিরোজা খাতুন নিজেই ওঠেন।

অপর তিন বোনের মধ্যে আফরোজা ও শিরিন দ্বিতীয় তলার দুই ফ্লাট এবং ময়না নিচতলার পশ্চিম পার্শ্বের ফ্লাট দখলে নেন। অবশিষ্ট চারটি ফ্লাটের ভাড়া তুলে ফিরোজা প্রথম ৩/৪ মাস অন্যবোনদের টাকা ভাগ করে দেয়। এরপর বিভিন্ন খরচ দেখিয়ে তিনি আর কোন ভাড়ার টাকা না দিয়ে আমাদেরকে বঞ্চিত করেছেন। এদিকে, আমার বোন ময়নার দখলে থাকা ফ্লাটটি তার স্বামী সাতক্ষীরা থেকে শ্যামনগর বদলি হয়ে গেলে এই ফ্লাট তালা মেরে চলে যায়। এই সুযোগে বোন ফিরোজা ফ্লাটের তালা ভেঙ্গে তার ফ্লাটটিও ভাড়া দেয়। ফিরোজা নিজেই এখন ৬টি ফ্লাট দখলে নিয়ে ভাড়ার টাকা সব আত্মস্বাৎ পূর্বক আমাদেরকে বঞ্চিত করে ছোট ভাই শাহজাহান করিবের উপর মিথ্যা দোষ চাপাচ্ছেন। তাছাড়া ফ্লাট গুলো আমাদের দখলে না দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ষড়যন্রে লিপ্ত আছেন। এমনকি অতি লোভের বশবতি হয়ে ভাই শাহজাহান কবিরকে ফাঁসানোর সকল কু-কর্মে লিপ্ত রয়েছেন। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে ফিরোজা বলেছেন, ওই সম্পত্তি নিয়ে মামলা চলমান থাকা অবস্থায় ২০০৭ সালে আমাদের পিতা আঃ গফুর মারা যান। যা আদৌও সত্য নয়। ফিরোজা আরও বলেছেন ‘মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আদালতকে ম্যানেজ করে বাদী-বিবাদী না থাকার পরেও পিতার পক্ষে রায় করে নেয়া হয়েছে। যা আদৌও সম্ভব নয়। ফিরোজা সম্পত্তির লোভ এই কথা বলে আদালতকে অবমাননা করেছেন।
তিনি বলেন, আমরা গত জুলাই মাসে ভাড়া আদায়ের জন্য একত্রিত হলে ফিরাজোর জামাই মাহবুল হক জেমি ও তার দলবল নিয়ে গত ০২ আগষ্ট রাত ১০টার দিকে আমাদেরকে মারধর করেন ও বাড়ী দখলের পায়তারা করেন এবং বর্তমানও লিপ্ত রয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, প্রকৃত পক্ষে আমাদের পিতা মৃত আলহাজ্ব আব্দুল গফুর সরদার সাতক্ষীরা পৌরসভাধীন কাটিয়া মৌজায় ১৯৭২ সালে ০৯ শতক জমি নিজ নামে খরিদ করেন। একই সাথে নাবালক পুত্র মুজিবুর রহমানের নামে সোয়া ০৭ শতক জমি ও ২য় নাবালক পুত্র আলমগীর কবিরের নামে ০৮ শতক জমি খরিদ করেন। সর্বমোট সোয়া ২৪ শতক জমি খরিদ করিয়া তিনি দক্ষিণ পার্শ্বে ১টি ৪ তলা ও উত্তর পার্শ্বে একটি ৪ তলা বিল্ডিং নির্মাণ করেন। পরবর্তীতে আমাদের পিতা নাবালক পুত্র দ্বয়ের ওই সম্পত্তি ফিরে পাওয়ার জন্য বেনাম খরিদ করিয়াছে মর্মে বিজ্ঞ সদর সহকারি জজ আদালতে ৯৩/৯৯নং মামলা করিয়া গত ১৯/১০/২০০৪ তারিখ রায় ও ২৫/১০/২০০৪ তারিখ ডিক্রি প্রাপ্ত হন। এরপর রায় ও ডিক্রির বিরুদ্ধে বড় ভাই মৃত মুজিবর রহমান দেওয়ানী আদালত আপিল ৫৩/২০০৫নং মামলা করেন। যা ৩১/১০/২০১৭ তারিখ না মঞ্জুর হয়। তিনি বলেন, বোন আফরোজা বেগম ২য় তলার পুর্বে পার্শ্বে ১টি ফ্লাটে বসবাসরত অবস্থায় গত ইং ১৭/০৮/০৯ তারিখে আমাদের ছোট ভাই শাহজাহান কবীর এর নিকট বিক্রয় করে দখল হস্তান্তর করেন। প্রকৃত পক্ষে ফিরোজা একাই ৬টি ফ্লাট ভোগ দখলে রেখে আমাদের ন্যার্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। আমরা পিতার পৈতৃক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত আমরা হচ্ছি। এমতাবস্থায় আমরা আমাদের অধিকার ফিরে পেতে প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছি। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা, বোন রিজিয়া বেগম, রাফেজা বেগম, রেহেনা খাতুন, শিরিনা পারভীন, বিলকিস আকতার ও বিল্লাল এহসান স্বাধীন।

বার্তাবাজার/আরএইচ

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর