প্রভাবশালীর ছেলেকে বিয়ে করায় প্রাণভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে মেয়ের পরিবার

পাবনার সাঁথিয়ায় এক প্রভাবশালীর ছেলেকে প্রেমকরে বিয়ে করায় প্রাণভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে মেয়েটির দরিদ্র পরিবার। এ নিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্যর মাধ্যমে শালিশী বৈঠক করেও কোন সুরাহা করতে পারেনী ওই দরিদ্র পরিবারটি। বরং বিবাহ বিচ্ছেদে রাজী না হওয়ায় শ্বশুর কর্তৃক পুত্রবধুকে মারপিট ও বাড়ি ঘর ভাংচুরের অভিযোগ রয়েছে।। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ছাতক বরাট গ্রামে

অভিযোগে জানাযায়, উপজেলার কাশিনাথপুর ইউনিয়নের ছাতক বরাট গ্রামের দিনমজুর মকবুল হোসেনের মেয়ে ও মাদরাসা ছাত্রী আমেনা খাতুনের সাথে একই গ্রামের প্রভাবশালী চাঁদ আলী খানের ছেলে স্কুল পড়–য়া রাকিব খানের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। তারা দু’জন দু’জনকে ভালবেসে গত ৩১ মার্চ ২০১৯ নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে করে। বিয়ের পর প্রভাবশালী বাবার ভয়ে স্ত্রীকে নিয়ে রাকিব খান ঢাকায় গিয়ে বাসা ভাড়া করে সংসার করতে থাকে। প্রায় ২মাস অতিবাহিত হবার পর রাকিবের বাবা চাঁদ আলী বিয়ে মেনে নেয়ার আশ্বাস দিয়ে তাদের বাড়িতে নিয়ে আসে। বাড়িতে আসার পর বিয়ে মেনে না নেয়ায় পূনরায় আবারও ওই বাড়ি থেকে পালিয়ে স্ত্রী আমেনার নানা বাড়ি সুজানগর আশ্রয় নেন। এ দিকে ছেলের বাবা চাঁদ আলী পুনরায় আবারও বিয়ে মেনে নেবার কথা বললে, রাকিব ও তার স্ত্রীকে স্থানীয় ইউপি সদস্য আজাদ হোসেনের মাধ্যমে শালিশি বৈঠক করে বাড়িতে উঠায়। এর মধ্যে গত ১৮ জুলাই সকালে শ্বশুর চাঁদ আলী জোরপূর্বক পুত্র বধুর নিকট থেকে স্থানীয় কাজীর মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য স্বাক্ষর নেবার চেষ্টা করে । তাতে ব্যার্থ হয়ে পুত্রবধূ আমেনা ও তার মা রোজিনা খাতুনকে বেধরক মারপিট করে এবং দারিদ্র পরিবারের টিনের ছাপড়া ভাংচুর করে। সংবাদ পেয়ে কাশিনাথপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জামাল হোসেন তাদের উদ্ধার করেন।

আমেনার মা রোজিনা খাতুন এ প্রতিনিধিকে জানান, প্রভাবশালী চাঁদ আলী খানের হুমকীতে আমেনা ও তার পরিবার ভিটাবাড়ি ছেড়ে প্রাণ ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। চাঁদ আলী ঘোষনা দিয়েছে, যেখানে পাবে সেখানেই আমাদের মারবে। তাই আমরা প্রাণ রক্ষায় ভিটেবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি।
অভিযুক্ত চাঁদ আলী জানান, আমার ছেলেকে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিয়ের পর তাদের সংসার করার কথা স্বীকার করলেও তিনি বাড়ি ভাংচুর ও ভয় দেখানোর কথা অস্বীকার করেন।

ইউপি সদস্য আজাদ হোসেন জানান, আমি ছেলে ও মেয়েকে চাঁদের বাড়িতে রেখে আসি। কিন্তু ছেলের বাবা পুত্রবধুকে স্বীকৃতি দিতে নারাজ।
এ বিষয়ে কাশিনাথপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জামাল হোসেন জানান, মারপিটের সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। বিয়ে সংক্রান্ত বিষয়টি মীমাংসার জন্য দুই পক্ষকেই থানায় আসতে বলি।

বার্তাবাজার/আরএইচ

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর