ভাইকে অক্ষত পেয়ে আনন্দে কেঁদে ফেললেন হাবিবুর

রাজধানীর বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউয়ের ১৭ নম্বর রোডের ২২ তলাবিশিষ্ট এফআর টাওয়ারের ২০ তলায় অবস্থিত কাশেম গ্রুপের অফিস অ্যাটেনডেন্ট কাজ করেন আহসান হাবিব (২৪)।

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অফিসের কাজে তাকে পাঠানো হয় বাংলামোটরে। ইতোমধ্যে দুপুরে ওই ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন ঢাকায় তার একমাত্র স্বজন (মামাতো ভাই) হাবিবুর রহমান। কিন্তু সেখানে এসেও কোনোভাবেই তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। মোবাইলফোনও বন্ধ। এক অজানা আশঙ্কায় ছটফট করছিলেন তিনি। এমন সময় সাইকেল নিয়ে হাবিবুরের পেছনে এসে দাঁড়ায় আহসান। তাকে অক্ষত পেয়ে জড়িয়ে ধরে আনন্দে কেঁদে ফেললেন হাবিবুর।

এভাবেই একজন ভয়ার্ত স্বজনকে আবেগ প্রকাশ করতে দেখা যায় ভয়াবহ আগুন লাগা এফআর টাওয়ার ভবনের সামনে। তার মতো অরও অনেকেই নানা আশঙ্কায় সময় পার করছেন।

আহসান হাবিব জানান, তার অফিসের সবাই নিরাপদে বেরিয়ে এসেছেন বলে তিনি শুনেছেন। তবে এখন পর্যন্ত কারো সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে এফআর টাওয়ারের ৯ তলা থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। আগুন নেভাতে বর্তমানে ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট কাজ করলেও দুই ঘণ্টায় (দুপুর ২টা ৫০মিনিট পর্যন্ত) আগুন নিয়ন্ত্রনে আনা সম্ভব হয়নি। ভবনে আটকে পড়াদের উদ্ধারে দুটি হেলিকপ্টার কাজ করছে।

ভবনটির ২০ তলার ওপর থেকে এক যুবককে বাঁশ দিয়ে গ্লাস ভেঙে ভেতরের ধোঁয়ার কুণ্ডলি থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা করতে দেখা যায়। আটকরা বারবার আকুতি জানিয়ে বলছিলেন, আমাদেরকে বাঁচান। সিঁড়ি না পাঠালো আমরা মারা যাব।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, ফায়ার সার্ভিস শুরুতেই কাজ শুরু করলে আগুন ভয়াবহ হতো না।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর