দুই অর্থবছরে নির্মাণ কাজে বিএলআরআই’র খরচ দেড় কোটি টাকার অধিক

বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইন্সটিটিউট (বিএলআরআই- Bangladesh Livestock Researc Institute) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে দেশের প্রাণী ও পোল্ট্রিসম্পদ উন্নয়নে একটি জাতীয় গবেষণা ইন্সটিটিউট। ১৯৮৪ সালে মহামান্য রাষ্ট্রপতির ২৮ নং অধ্যাদেশ এর মাধ্যমে বিএলআরআই প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৮৬ সাল থেকে বিএলআরআই এর কর্মযাত্রা শুরু হয়। জাতীয় কৃষি গবেষণা সিস্টেমের একটি ইন্সটিটিউট হিসেবে বিএলআরআই এর ৯ নং আইনটি গত ১৯৯৬ সালে মহান জাতীয় সংসদে পাশ হয় এবং আইনটি ইংরেজিতে থাকার কারণে বিগত ২০১৮ সালে মহান জাতীয় সংসদে সংশোধিত আকারে বাংলায় পাস হয়।

২০১৬-২০১৭ ইং এবং ২০১৭-২০১৮ ইং এই দুই অর্থবছরে এই গবেষণা ইন্সটিটিউটে নির্মাণ কাজে মোট
১ কোটি ৫৩ লক্ষ ৭ হাজার ৫ শত টাকা ব্যয় হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা মোঃ শাহ আলম এর নিকট তথ্য অধিকার আইনে এসংক্রান্ত তথ্য পেয়ে বিষয়টি জানা যায়।

২০১৬-২০১৭ ইং অর্থবছরে ‘অন্যান্য ভবন ও স্থাপনা মেরামত’ বাবদ ১৬ লক্ষ ১৭ হাজার টাকার দরপত্র দৈনিক ইত্তেফাক (২৭ ডিসেম্বর, ২০১৬) এবং ডেইলি ইন্ডেপেন্ডেন্ট পত্রিকায় (২৭ ডিসেম্বর, ২০১৬) আহ্বান করা হলে ৬ জন দরদাতা অংশ নেন। এদের ভিতর থেকে গ্রহনযোগ্য ১ম নিম্ন দরদাতা হিসেবে ইনফিনিটি ইঞ্জিনিয়ারিং লিঃ (১৬ লক্ষ ১৭ হাজার ৯ শত টাকা) কার্যাদেশ লাভ করেন।

একই অর্থবছরে ‘আবাসিক ভবন মেরামত’ বাবদ ২০ লক্ষ ৪০ হাজার টাকার দরপত্র আহবান করা হয় দৈনিক ইত্তেফাক( ২৪ জানুয়ারি, ২০১৭) এবং ডেইলি ইন্ডেপেন্ডেন্ট পত্রিকায় (২৩ জানুয়ারি, ২০১৭)। মোট ৪ জন দরদাতা দরপত্রে অংশগ্রহন করেন এবং তাদের ভিতরে গ্রহনযোগ্য ১ম নিম্ন দরদাতা (২০,৪০,৮৬৪.২০৮ টাকা) হিসেবে মেসার্স সাকিব ইলেকট্রিক কার্যাদেশ লাভ করেন।

২০১৭-২০১৮ ইং অর্থবছরে ‘আবাসিক ভবন মেরামত’ বাবদ দৈনিক ইত্তেফাক (১৩ জানুয়ারি, ২০১৭) এবং ডেইলি স্টার (১৩ জানুয়ারি, ২০১৭) পত্রিকায় ৪২ লক্ষ ৩৩ হাজার টাকার দরপত্র আহ্বান করা হলে মোট ৪ জন দরদাতা অংশ নেন। এদের ভিতরে মেসার্স সাকিব ইলেকট্রিক এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (৪২ লক্ষ ৩৮ হাজার টাকা) গ্রহনযোগ্য ১ম নিম্ন দরদাতা হুসেবে কার্যাদেশ লাভ করেন।

এই অর্থবছরে ‘অন্যান্য ভবন ও স্থাপনা মেরামত’ বাবদ ৩৪ লক্ষ ৩২ হাজার ৫ শত টাকার দরপত্র আহ্বান করা হয় দৈনিক ইত্তেফাক (১৩ জানুয়ারি, ২০১৭) এবং ডেইলি স্টার (১৩ জানুয়ারি, ২০১৭) পত্রিকায়। মেসার্স হারুন এন্ড ব্রাদার্স নামের মাত্র ১ জন দরদাতা অংশগ্রহন করে কার্যাদেশ লাভ করেন। এই প্রতিষ্ঠান মোট ৩৪ লক্ষ ২৬ হাজার ৫ শত ৩২ টাকা ১২ পয়সা দর প্রদান করে।

একই অর্থবছরে ‘অন্যান্য মেরামত ও সংরক্ষণ ‘ বাবদ দৈনিক ইত্তেফাক (১৩ জানুয়ারি, ২০১৭) এবং ডেইলি স্টার (১৩ জানুয়ারি, ২০১৭) পত্রিকায় ৩৯ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকার দরপত্র আহ্বান করা হয়। মোট ২ জন দরদাতা অংশগ্রহন করেন এবং গ্রহনযোগ্য ১ম নিম্ন দরদাতা হিসেবে মেসার্স শামীম এন্টারপ্রাইজ (৩৯ লক্ষ ৮৫ হাজার ১শত ৭৮ টাকা ৫২ পয়সা) কার্যাদেশ লাভ করেন।

১ জানুয়ারি ২০১৭ ইং তারিখ থেকে ৩১ মার্চ ২০১৯ ইবগ তারিখ পর্যন্ত সময়সীমায় মোট ৪টি প্রকল্পে সরকারী বরাদ্দ আসে ৯৫ কোটি ৫৯ লক্ষ ৭৯ হাজার টাকা। চাহিদাকৃত তথ্যের দ্বিতীয় অংশের প্রাপ্ত তথ্যাদি থেকে এবিষয়টি জানা গেছে।

জুন, ২০১৬ থেকে জুন, ২০১৯ অর্থবছরে ডেইরি উন্নয়ন গবেষণা প্রকল্পে মোট ২৩ কোটি ২৭ লক্ষ টাকা সরকারী বরাদ্দ আসে। ফডার জাত সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্পে আসে মোট ৪৩ কোটি ১৯ লক্ষ ৭৯ হাজার টাকা, বিপি ক্ষুরা রোগ ও পিপিআর রোগ গবেষণা প্রকল্পে মোট ১৩ কোটি টাকা এবং সমাজভিত্তিক বাণিজ্যিক খামারে দেশী ভেড়া উন্নয়ন ও সংরক্ষণ (২য় পর্যায়) প্রকল্পে মোট ১৬ কোট ১৩ লক্ষ টাকা সরকারী বরাদ্দ হিসেবে আসে।

বার্তাবাজার/আরএইচ

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর