নোবেলকে ‘জেলে’ পাঠানোর হুমকি দিলেন জেমস

মাইনুল আহসান নোবেল। কিছু দিন আগে এই নামটি তার পরিবার আর বন্ধু-বান্ধব ছাড়া কেউ জানতো না। অথচ আজ এই নোবেলের পরিচিতি দেশজুড়ে। ভারতের জনপ্রিয় রিয়্যালিটি শো ‘সা রে গা মা পা’বদৌলতে তার এই উত্থান। প্রতিযোগীতার পুরো জার্নিতে সবার দৃষ্টি ছিল তার দিকে। কিন্তু দর্শক ও ভক্তদের হতাশ করে আয়োজনের দ্বিতীয় রানারআপ হয়েছেন তিনি। এতে নোবেল ভক্তদের অনেকেই অবাক এবং নাখোশ হয়েছেন। তবে এরই মধ্যে ‘কথার বোমা’ ফাটালেন নোবেল।

গোপালগঞ্জে জম্ম নেয়া এই তরুণ জানালেন, ‘সা রে গা মা পা’র একটি পর্বে জেমসের বিখ্যাত গান ‘পাগলা হাওয়া’ গেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সে এপিসোডে প্রচার হয়েছিল ‘রূপালি গিটার’! তার গাওয়া গানটিই টেলিকাস্ট হয়নি।

কেন হয়নি? এই প্রশ্নের জবাবে নোবেল বলেন, ‘জেমস ভাই তার ম্যানেজারকে দিয়ে ফোন করান এবং বলেন, গানটা যেন টেলিকাস্ট না হয়। আমাকে জেলে পাঠানোর হুমকিও দেয়া হয়।’

নোবেল আরও বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে উনাকে আমি খুবই শ্রদ্ধা করি। তিনি আমার একজন আইডল। তার কাছ থেকে এ ধরনের হুমকি-ধমকি সত্যিই অপ্রত্যাশিত। আমি উনার ছেলের বয়সী। এর পরও জেমস ভাইয়ের প্রতি আমার শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা কখনোই কমবে না।’

শেষ দিন শেষ গান হিসেবে নোবেল গেয়েছেন প্রিন্স মাহমুদের লেখা ও সুর করা এবং জেমসের কণ্ঠে জনপ্রিয় হওয়া ‘বাংলাদেশ’ গানটি। এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতেতিনি আরো গেয়েছেন আইয়ুব বাচ্চুর ‘সেই তুমি’ এবং প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের ‘আমি বাংলায় গান গাই’ গান দুটি।

এ প্রসঙ্গে নোবেল বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়েছে, জাতীয় সংগীতের পর ‘বাংলাদেশ’ গানটাই আমাদের দেশকে রিপ্রেজেন্ট করে। তাছাড়া ‘আমি বাংলায় গান গাই’ দুই বাংলাকেই রিপ্রেজেন্ট করে। আমি খুবই আবেগী মানুষ, বিশেষ করে দেশ ও ভাষার ক্ষেত্রে। আবেগ নিয়েই গান দুটি গেয়েছি। পাঁচ মাস আগেই ‘বাংলাদেশ’ গানটা করতে পারতাম, রেখে দিয়েছি ফাইনালে উঠলে গাইব বলে।’

বার্তাবাজার/এএস

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর