তিতাসে আ’লীগ প্রার্থীর জামিন বাতিলের নেপথ্যে কাজ করছে বিদ্রোহী প্রর্থী

কুমিল্লার তিতাস উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী শাহিনুল ইসলাম সোহেল সিকদারের প্রার্থীতা বহাল বলে রায় দিয়েছেন মহামান্য হাইকোর্ট। অপর দিকে বিভিন্ন পরিকল্পিত মামলায় কারাবন্দি সোহেল সিকদার হাই কোর্ট থেকে প্রাপ্ত জামিন বাতিল করার নেপথ্যে কাজ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে বিদ্রোহী প্রার্থী পারভেজ হোসেন সরকারের বিরুদ্ধে।

৩০ জুন প্রধান নির্বাচন কমিশনের সচিব মোঃ আলমগীর হোসেন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে কয়েকটি কেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগ ঊল্লেখ করে সোহেল সিকদারের প্রার্থীতা বাতিল করেন। পরে শাহিনুল ইসলাম সোহেল সিকদারের স্ত্রী শামিমা আক্তার বাদী হয়ে সোহেল সিকদারের প্রার্থীতা বাতিলের বিরুদ্ধে মাহামান্য হাই কোর্টে রিট আবেদন করলে হাই কোর্ট ২৩ জুলাই শাহিনুল ইসলাম সোহেল সিকদারের প্রার্থীতা বহাল বলে রায় প্রদান করেন।

এদিকে সোহেল সিকদার ৩১ জুলাই হাই কোর্ট থেকে জামিন লাভ করলে বিদ্রোহী প্রার্থী পারভেজ হোসেন ,মামলার বাদীদেরকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে জামিন বাতিলের চেষ্টা করছেন এবং তিতাস থানার বিভিন্ন মামলায় সোহেল সিকদারের নাম দিয়ে চার্জসিট দেয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন সোহেল সিকদারের স্ত্রী শামিমা আক্তার। উল্লেখ্য ৩১ মার্চ চতুর্থ ধাপে অনুষ্ঠিত তিতাস উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দিন বিদ্রোহী প্রার্থী পারভেজ হোসেন সরকার তার পরাজয় নিশ্চিত ভেবে দুপুর আনুমানিক ২টায় সংবাদ সম্মেলন করে বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগ তুলে সোহেল সিকদারের বিরুদ্ধে এবং নির্বাচনে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের বরাবর নির্বাচন বন্ধের আবেদনও করেন তিনি। পরে বিকাল আনুমানিক সাড়ে ৩টায় আকস্মিকভাবে পুরো উপজেলার ৪৬টি কেন্দ্রে নির্বাচন স্থগিত করেন রিটার্নিং অফিসার।

তার পর থেকে শুরু হয় আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী শাহিনুল ইসলাম সোহেল সিকদার সহ নৌাকা মার্কার পক্ষে নির্বাচন করা নেতাকর্মীদের নামে একের পর এক মিথ্যা ও সাজানো মামলা। মিথ্যা মামলার শিকার উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মীর শওকত লিটন অভিযোগ করে বলেন এ সকল মামলার নেপথ্যে অর্থের যোগান দিচ্ছে কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা কোষাধক্ষ্য মরহুম বেলায়াত হোসেন সরকারের ছেলে বিদ্রোহী প্রার্থী পারভেজ হোসেন সরকার। তিতাস উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও নৌকা মার্কার পক্ষে জারা নির্বাচন করেছে তারা বলেন, পারভেজ হোসেন সরকার, বিএনপি ও জামাত কর্মীদের নিয়ে জয় বাংলার শ্লোগানকে বিকৃত করেছে।

সারা দেশ ব্যাপী যখন জয় বাংলা জিতবে এবার নৌকা এমন শ্লোগানে মূখরিত ছিল পাড়া,মহল্লা,অলিগলি ও হাট বাজার ঠিক তখনই বঙ্গবন্ধুর বিরোদিতা কারীদের যোগসাজসে বিদ্রোহী প্রার্থী পারভেজের বিকৃত শ্লোগান জয় বাংলা জিতবে এবার আনারস। বঙ্গবন্ধুর নৌকার বাহিরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রকৃত নেতা কর্মীরা কখনো জয় বাংলার পরে নৌকা ব্যতীত অন্য কোন প্রতীকের নাম নিয়ে শ্লোগান দেয়নি। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জন নেত্রী শেখ হাসিনা ও কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রতি স্থানীয় নেতাকর্মীদের দাবি অবিলম্বে পারভেজ হোসেনকে দল থেকে বহিস্কার করার।

বার্তা বাজার/এসআর

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর