ডেঙ্গু মোকাবেলায় তৃণমূল পর্যন্ত প্রতিরোধ গড়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

সারা দেশে ডেঙ্গু নিয়ে চলমান উদ্বেগজনক পরিস্থিতির মধ্যে কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে দলের নেতাকর্মী ও জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এখন পর্যন্ত দেশের অন্তত ২১টি জেলায় ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়েছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে আগামী ৩১ জুলাই থেকে তিন দিন সারা দেশে সচেতনতামূলক পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানোর ঘোষণা দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। আগমনী ৩১ জুলাই, ২ ও ৩ আগস্ট এই তিন দিন সকাল ১১ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত জেলা, উপজেলা থেকে ইউনিয়ন পর্যন্ত এই কর্মসূচি পালন করা হবে। পাশাপাশি সর্তকতামূলক লিফলেটও বিতরণ করবে দলটি।

সোমবার (২৯ জুলাই) ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগের সভাপতি রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে লন্ডন সফররত প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে এই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। ডেঙ্গুকে আমরা সহজভাবে নিচ্ছি না সিরিয়াসলি নিচ্ছি। আমরা সর্বাত্মকভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চ্যালেঞ্জ নিয়েছি। আমাদের নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে আমরা সচেতনতা ও সতর্কতামূলক সভা-সমাবেশ করবো।’

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী লন্ডন থেকেও প্রতিনিয়ত বানভাসি ও ডেঙ্গু পরিস্থিতির খোঁজখবর নিচ্ছেন। বৈঠক চলাকালে প্রধানমন্ত্রী তাদের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন। চিকিৎসার ঝামেলা না থাকলে প্রধানমন্ত্রীর এখন বিদেশ থাকার কথা নয়। তিনি লন্ডনে বসেই ঢাকার দুই মেয়র ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে ডেঙ্গু প্রতিরোধ কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ডেঙ্গু এতটা প্রকট হবে আমরা আগে ভাবিনি। সরকার ও আওয়ামী লীগের মধ্যে কোনও সমন্বয়হীনতা নেই। সবাই ঐক্যবদ্ধ আছে বলেই আমরা ডেঙ্গু মোকাবিলা করতে পারছি। যত ভয়াবহ বিস্তারই ঘটুক না কেন- আমরা মোকাবিলা করতে পারবো।’

ডেঙ্গু নিয়ে মেয়র ও মন্ত্রীদের কথাবার্তায় ‘স্লিপ অব টাং’ হলে তারা কাজকর্মে আন্তরিক ও ঐক্যবদ্ধ বলে জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।

এসময়ে দেশের বন্যা নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বন্যার্তদের পুনর্বাসন না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও সরকার সব ধরনের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করবে। বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসন অব্যাহত থাকবে। যারা ঘরবাড়ি হারিয়েছেন তাদের ঘরবাড়ি দেয়া হবে। সব ধরনের সহযোগিতা করে যাবে সরকার।’

সভায় বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ডেঙ্গু, বন্যা ও উপজেলা নির্বাচনে যারা নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে তাদের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচনে যারা বিদ্রোহ করেছে ও মদদ দিয়েছে তাদেরকে শোকজ এবং দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হবে। যাচাই-বাছাই করে এসব ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিষয়গুলো প্রক্রিয়াধীন আছে।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, একে এম এনামুল হক শামীম, বিএম মোজাম্মেল হক, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন ও উপ-দফতর সম্পাদক ব্যরিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।

বার্তাবাজার/আরএইচ

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর