সাবেহবাড়ী বাঁধ ভাঙ্গনে আতঙ্কে বিশ গ্রামের মানুষ

বগুড়ার শেরপুরে বাঙালি ও করতোয়া নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বগুড়ার শেরপুর উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের বিনোদপুরে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটি ভেঙ্গে পড়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। যার ফলে এলাকাবাসী সহ প্রায় ২০ গ্রামের মানুষ আতংকে দিন কাটাচ্ছে।

স্থানীয়রা জানায়, বাঙ্গালী নদীতে পানি যে ভাবে বৃদ্ধি হচ্ছে যে কোন সময় বাঁধটির ধসে যেতে পারে। কিছু অংশ দিয়ে পানি গড়ার উপক্রম হয়। সেখানে বালু ও মাটির বস্তা ফেলে দিন রাত জেগে এলাকাবাসী মেরামত করছে। অথচ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোন অবস্থান নেই সেখানে।

দিন দিন পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বাঁধটি রক্ষা করা কঠিন হয়ে দাঁিড়য়েছে। ইতোমধ্যে নদী তীরবর্তী কয়েকটি বাড়িঘর সরিয়ে নেয়া হয়েছে। আতংকে রয়েছেন এলাকাবাসী সহ প্রায় ২০টি গ্রামের মানুষ। বাঁধটি ভেঙ্গে পড়লে উপজেলার সুঘাট, সীমাবাড়ী, বিশালপুর, ভবানীপুরের একাংশসহ সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ ও রায়গঞ্জ উপজেলাসহ সিরাজগঞ্জের বিশাল এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে যাবে। নষ্ট হয়ে যাবে হাজার হাজার বিঘা জমির রকমারি ফসল। এলাকাবাসী বাঁধটি রক্ষায় আশু পদক্ষেপ নেবার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।

সুঘাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ জানান, গেল কয়েকদিন ধরেই বাঙালি ও করতোয়া নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। যে কোন সময় এই বাঁধটি ধসে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হবে। বাসা-বাড়ি তলিয়ে যাবে। অসংখ্য মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়বে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেন।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ বাঁধের একাংশ বাঙালি নদীগর্ভে ধসে যাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বন্যা নিয়ন্ত্রণ এই বাঁধটি এলজিইডি নির্মাণ করেছিল। তাদের দপ্তরের নয়। এরপরও ক্ষতিগ্রস্থ এই বাঁধটি নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করছি।

বার্তাবাজার/কে.জে.পি