ছাত্রলীগ নেতারা আগামীতে দেশের নেতৃত্ব দিবে—কৃষি মন্ত্রী

বাংলাদেশের একটি প্রধান রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ। অবিভক্ত পাকিস্তানের সর্বপ্রথম ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ । এটি ভারত বিভক্তিক্রমে পূর্ব পাকিস্তানের উদ্ভবের কিছু পর গঠিত হয়।ছাত্রলীগ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিক্ষা প্রাতিষ্ঠানিক অঙ্গ সংগঠন হিসেবে পরিচিত। ঐতিহ্যবাহী এই ছাত্র সংগঠনটির জন্ম আওয়ামী লীগের এক বছর আগে। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, চুয়ান্নর আন্দোলন, ছয় দফা আন্দোলন,একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ সব কিছুতেই ছাত্রলীগের অবদান রয়েছে। ছাত্রলীগ আর্দশের দল,সংগ্রামের দল,মানুষের দল,মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দল। জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২৮ বছর বয়সে বুঝতে পেরেছিল এদেশ স্বাধীন না হলে অর্থনৈতীক সামাজিক সংস্কৃতিক কোন ভাবেই মুক্তি মিলবেনা,তাইতো বঙ্গবন্ধু ডাক দিয়েছিল স্বাধীনতার এবং দেশকে হানাদার মুক্ত করে দেশকে স্বাধীন করেছে।

শনিবার (২৭জুলাই) ঢাকার সরকারি কবি নজরুল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
কৃষি মন্ত্রী বলেন, ছাত্রলীগ মেধাবী ছাত্রদের সংগঠন। আজ যারা ছাত্রলীগকে নেতৃত্ব দিচ্ছে আগামীতে তারাই দেশের নেতৃত্ব দিবে। ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতা কর্মীদের প্রজ্ঞাবান হতে হবে,ছাত্র ছাত্রীদের মনে প্রবেশ করতে হবে মেধা ও আদর্শ কর্মদ্বারা। ছাত্র লীগের প্রতিটি নেতাকর্মীর হতে হবে অসম দেশ প্রেম অধিকারী । নিজেকে হতে হবে আদর্শবান যা অন্যকে আকৃষ্ট করে,দলকে সমুজ্জল করে সবার কাছে আকর্ষনীয় করতে হবে ছাত্র লীগকে। তিনি বলেন, একটা কথা মনে রাখতে হবে একাত্তরে লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা যেনো কোন ক্রমে পকিস্তানী প্রিতিদের হাতে না যায়। ছাত্রলীগকে সর্বদা সজাগ থাকতে হবে, নতুন ষড়যন্ত্র মোকাবেলায়, যারা গুজব ছরাচ্ছে তাদের প্রতিহত করতে হবে। বন্যা কবলিত মানুষের পাশে দাড়াতে হবে।

কৃষি মন্ত্রী উপস্থিত ছাত্র ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান কিভাবে বঙ্গবন্ধু হলেন,কিভাবে দেশ স্বাধীন হলো। কে স্বাধীনতার ঘোষনা দিল। তার জীবনের ত্যাগ প্রজ্ঞা অসম দেশ প্রেম দূরদর্শীতা তোমাদের জানাতে হবে। কিভাবে একজন সাধারণ মানুষ অকৃত্রিম দেশ প্রেম অসিত সাহসিকতা দ্বারা হয়ে উঠেন অবিসংবাদিত নেতা। তার জীবনী জানতে হবে। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা কিভাবে তার পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছে। ভিক্ষুকের দেশ আজ বিশ্বের উন্নয়নের রোল মডেল। জাতীর পিতার গড়া দল মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভালোবাসার দলে কোন অছাত্র,মাদক সেবী সন্ত্রাসীদের যায়গা হবে না।

বেলা ৩টায় ক্যাম্পাস মাঠে এই সম্মেলন শুরু হয়। সম্মেলনের উদ্বোধন করেছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো.রেজাওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন অধ্যাপিকা খালেদা নাসরিন, উপধ্যাক্ষ সরকারি কবি নজরুল কলেজ।

সম্মেলন উপলক্ষে ভোর থেকে ক্যাম্পাসে উপস্থিত হতে শুরু করেন পদপ্রত্যাশীদের সমর্থক ও পুরান ঢাকার বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা। ফলে কলেজের ও এর আশেপাশের এলাকায় ব্যাপক জনসমাবেশ ঘটেছে।

বার্তাবাজার/আরএইচ

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর