পাঁচবিবিতে শিশু হত্যার বিচারের দাবিতে জাবিতে মানববন্ধন

জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে এক শিশু স্কুল শিক্ষার্থীকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় প্রতিবাদ ও জড়িতদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার পাদদেশে “সচেতন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়” এর ব্যানারে এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়।

নিহত শিশুর নাম আব্দুর রহমান। সে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি থানার রেজাউল ইসলামের পুত্র ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি (আইআইটি) ৪১ তম ব্যাচের ছাত্র মমিনুল ইসলামের ছোট ভাই।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আমাদের দেশে অপরাধের যথাযথ বিচার না হওয়ার কারণে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ক্রমশ বেড়েই চলছে। এমনকি একটা ছোট শিশুকেও নির্মমভাবে হত্যা করতে অপরাধীদের করুণা হচ্ছে না। আমরা আমাদের এ ছোট ভাই হত্যার বিচার চায়।

এ সময় মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজির (আইআইটি) অধ্যাপক ফজলুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, “সেদিন একটা শিশুর ওপর যে পাশবিকতা চালানো হলো আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আর কোন শিশু যেন এমন নির্মমতার শিকার না হয় সেজন্য আমাদের রুখে দাঁড়ানোর সময় হয়েছে। আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ শিশুটি যদি আজ বেঁচে থাকতো ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ বিনির্মাণে হয়তো সে অনেক ভূমিকা রাখতে পারতো। আমরা চাই আগামীর বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে অন্তত আজকে শিশুর সাথে ঘটে যাওয়া পাশবিকতার সুষ্ঠু তদন্ত হোক, হত্যাকারীর শাস্তি নিশ্চিত হোক।’

মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন নিহত আব্দুর রহমানের ভাই ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজির ৪১ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আব্দুল মুমিন। তিনি বলেন, ‘তাকে এভাবে হত্যা করার কোনো কারণ আমরা খুঁজে পাচ্ছি না। আমরা বাকরুদ্ধ। আমরা আমাদের বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। আমাদের কারো সাথে কোন ধরনের শত্রুতা ছিল না তারপরও আমার নিষ্পাপ ভাইটিকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হলো। আজকে হত্যাকাণ্ডের ১০ দিন পার হলেও আমরা জানতে পারি নাই কিভাবে আমার ভাইটিকে মেরে ফেলা হলো। আমি চাই পুলিশ প্রশাসন অতিদ্রুত এ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত করুক।’

উল্লেখ্য, গত ১৫ মার্চ পাঁচবিবি উপজেলার কুসুম্বা ইউনিয়নের এক পরিত্যক্ত স্কুল ভবন হতে ধুরইল উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী আব্দুর রহমানের গলাকাটা ও ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা রেজাউল করিম বাদী হয়ে পাঁচবিবি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তারপর থেকে নৃশংস এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে আসছে স্হানীয় লোকজন ও বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা। তবে ঘটনার পর ১০ দিন অতিবাহিত হলেও এখনও প্রশাসন এ ঘটনায় জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর