ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেল পা হারানো সেই নিপা

যে সংবাদ শুনে খুশিতে লাফালাফি করার কথা ছোট শিশুটির। আজ সে সংবাদ শুনেই চোখ দিয়ে অনবরত ঝরছে নোনা পানি। ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেলে যে কোনো বাবা-মায়েরই গর্বে বুকটা ভরে আসে। এমন খুশির সংবাদেও খুশির লেশমাত্র নেই শিশুটির পরিবারে। বলছি যশোরে গাড়ি চাপায় পা হারানো নিপার কথা।

রোববার (২৪ মার্চ) বিকেলে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যায় নিপা ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছে। কিন্তু এ খুশির খবরটি যেন নিপার পরিবারের বিষাদকে আরও উস্কে দিয়েছে। বৃত্তি পাওয়ার সংবাদ পেয়েই কাঁদতে শুরু করেন নিপার বাবা রফিকুল ইসলাম। খবর শুনে তার সঙ্গেই কাঁদতে শুরু করলেন নিপার মা মুসলিমা বেগমও।

নিপা গতবছর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীতে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হওয়ার পর বুরুজবাগান পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। ৬ষ্ঠ শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষায়ও প্রথম হয়েছিল সে। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল শার্শা বুরুজবাগান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে।

গত বুধবার (২০ মার্চ) সকালে স্কুলে যাবার পথে পল্লী বিদ্যুতের একটি পিকআপ ভ্যান তাদের বহনকারী স্কুলভ্যানকে চাপা দেয়। এতে গুরুতর আহত হয় নিপাসহ আরও তিন শিক্ষার্থী। এরমধ্যে নিপাকে হাসপাতালে ভর্তির পর তার ডান পা কেটে ফেলতে হয়। জ্ঞান ফেরার পর থেকে গত পাঁচদিন যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বেডে শুয়ে নিপা নিজের কেটে ফেলা পায়ের দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকছে আর দু’চোখে অঝরে ঝরছে অশ্রু।

এদিকে বুধবারের দুর্ঘটনার পর পাঁচদিন পার হলেও ধরা পড়েনি পল্লী বিদ্যুতের গাড়িচালক। পুলিশ অবিলম্বে অভিযুক্ত পিকআপ চালককে আটকের আশ্বাস দিলেও বাস্তবায়ন হয়নি এ আশ্বাসের।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর