মাথা ন্যাড়া করেও শেষ রক্ষা হলো না

রাজধানীর বাড্ডায় ছেলেধরা সন্দেহে যে নারীকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে, তার ভিডিও প্রকাশ হওয়ার পর কেঁপে উঠেছে গোটা দেশ।যিনি এই হত্যকাণ্ডে বেশ উৎপুল্ল ছিলেন অবশেষে তাকে গ্রেফতার করা হয়। নাম হৃদয় খান। একজন সবজি বিক্রেতা। ঘটনার দিন ছেলেধরার গুজব শুনে আরো অনেকের সঙ্গে স্কুলে প্রবেশ করে তাসলিমা রেনুকে পিটিয়ে হত্যা করে সে। এরপর পালিয়ে যায় নারায়ণগঞ্জ। তাকে গ্রেফতারের পর সংবাদ সম্মেলনে একথা জানায় ঢাকা গোয়েন্দা পুলিশ। এদিকে, পুলিশ মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী জানিয়েছেন, গণপিটুনির ঘটনায় গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে।

রেনু হত্যার পাঁচদিন পর মঙ্গলবার(২৩ জুলাই) রাতে নারাণগঞ্জের ভুলতা থেকে হৃদয় খানকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। জানায় , হৃদয় বাড্ডার ওই স্কুলের পাশে সবজি বিক্রি করতো।

ঘটনার দিন রেনু স্কুলের সামনে এসে এক নারীর কাছে তার সন্তানের ভর্তির বিষয়ে কোথায় তথ্য পাওয়া যাবে জানতে চান, ওই নারী রেনুকে ছেলেধরা বলে সন্দেহ করে।

এক পর্যায়ে রেনুকে স্কুলের দোতলার একটি ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়। এ সময় আশপাশের অনেকে স্কুলের দেয়াল টপকে ভেতরে প্রবেশ করে তালা ভেঙে রেনুকে বাইরে নিয়ে আসে এবং এলোপাতাড়ি মারতে থাকে। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় হৃদয়ও। এরপর চলে যায় নারায়ণগঞ্জ নানীর কাছে।

ডিবি অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল বাতেন বলেন, হৃদয় এরপরেই বুঝতে পারে তাকে খোঁজাখুজি করা হয়েছে। সে চলে যায় নারায়ণগঞ্জে। দুদিন পর চুল ন্যাড়া করে। এছাড়া তার সব কাপড় পুড়িয়েও ফেলতে বলেন তার নানীকে।

এসময় তিনি আরো বলেন, এখন পর্যন্ত হৃদয় আরো বেশ কয়েজনের নাম বলেছে। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানায় গোয়েন্দা পুলিশ।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে এটা স্বীকার করেছে। এছাড়া সেসহ যারা রেনুকে তালা ভেঙে করে আনে, তাদের নাম বলেছে। আমরা তাদের দ্রুত গ্রেফতার করবো।

বার্তাবাজার/এএস

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর