রেনুর দাফন সম্পন্ন, এলাকায় শোকের ছায়া

সারাদেশে গুজব ছড়িয়েছে পদ্মা সেতুতে মাথা লাগবে। আর তাতেই ছড়িয়ে পড়েছে ছেলেধরা আতঙ্ক। আর এতে করে গত এক সপ্তাহেই মারা গেছেন প্রায় দশজন। যাদের মধ্যে কয়েকজন মানসিক প্রতিবন্ধীও ছিলেন। যারা এ ধরণের পিটুনী দিয়ে মানুষ মারছেন তারা সত্যি মিথ্যা কিছু বাঁচছেন না।

সরকার, প্রশাসন বিভিন্ন পদক্ষেপ নিলেও এখন পর্যন্ত সম্পূর্ণভাবে এই গুজব রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। এই গুজবের ফলে রাজধানীর বাড্ডায় নির্মমভাবে নিহত হন রেনু বেগম। শনিবার (২০ জুলাই) সকালে ঢাকার উত্তর পূর্ব বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে তাসলিমা বেগম রেনুকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। মেয়েকে ভর্তির জন্য ওই স্কুলে খোঁজ নিতে গিয়ে কথাবার্তায় সন্দেহ হলে মুহুর্তের মধ্যে লোকজন জড়ো হয়ে পিটুনি দিলে তার মৃত্যু হয়।

নিহত রেনুর (৪০) দাফন লক্ষ্মীপুরে সম্পন্ন হয়েছে। রোববার (২১ জুলাই) রাতে জেলার রায়পুর উপজেলার উত্তর সোনাপুর গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে বাবার পাশে তাকে দাফন করা হয়েছে।

বিকালে রেনুর মরদেহ বাড়িতে নেওয়া হলে বৃদ্ধা মা ছবুরা খাতুনসহ স্বজনদের মাতম আর আহাজারিতে আকাশ-বাতাশ ভারি হয়ে উঠে। এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া। এ সময় পরিবারের লোকজন গুজব ছড়িয়ে মানুষ হত্যার বিচারের দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

রেনুরা এক ভাই ও পাঁচ বোন। সে সবার ছোট। পড়ালেখা শেষে তিনি ঢাকায় আড়ং ও ব্র্যাকে চাকুরি করেছিলেন।প্রাইভেটও পড়াতেন তিনি। পারিবারিক কলহের কারণে দুই বছর আগে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় তার।

বিচ্ছেদের পর ছেলে তাসফিক আল মাহি (১১) বাবার সঙ্গে থাকে। মেয়ে তাসলিমা তুবা (৪) থাকতো মায়ের কাছে। মা শিশু তুবাকে ছেড়ে পরপারে চলে গেছেন, কিন্তু অবুঝ শিশু জানেনা মা কোথায়।

বার্তাবাজার/কেএ

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর