কলেজ ছাত্রীকে বিয়ে ও চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ

চাকরীর প্রলোভন দেখিয়ে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সহকারী নাজির মোঃ সাব্বির হোসেনের বিরুদ্ধে পটুয়াখালী সদর থানায় এক তরুনীকে ধর্ষনের অভিযোগে মামলা হয়েছে। তরুনীর বাবা মোঃ ফারুক খান বাদী হয়ে সাব্বির হোসেনকে একমাত্র আসামী করে আজ বৃহস্পতিবার এ মামলা দায়ের করে। মামলা নং-২৫, তারিখ : ১৮-০৭-১৯।

মামলা সূত্রে জানাযায়, পটুয়াখালী শহরের ছোট চৌরাস্তা এলাকার এ্যাড. অলিউর রহমানের ২য় তলার ভাড়া বাসায় সহকারী নাজির মোঃ সাব্বির হোসেনের চাকুরির কথা বলে গত ০১ মে কাগজপত্র নিয়ে আসতে বলে। সেখানে সে ঐ তরুনীকে বিয়ের প্রলভোন ও চাকুরী দেয়ার কথা বলে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করে। এতে ঐ তরুনী ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠলে ২৪ মে সহকারী প্রাথমিক শিক্ষক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ডিসি অফিস থেকে ফাঁস করে এনে দেয়ার কথা বলে নিবৃত করে। এর পর ধর্ষক ঐ তরুনীর সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এর ধারাবাহিকতায় গত ১৫ মে তরুনী তার বাসায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। সাথে সাথে হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে প্রানে বেঁচে যায়। পরে তরুনী তার বাবা-মাকে এ ঘটনা অবহিত করলে তরুনী বাবা ফারুক খান বাদী হয়ে ১৭ জুলাই পটুয়াখালী নারী-শিশু নির্যাত দমন ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করেন।

আদালত সদর থানা পুলিশকে মামলা গ্রহনের নির্দেশ দিলে আজ থানা পুলিশ মামলাটি এজার হিসেবে গন্য করে। তরুনী পটুয়াখালী সরকারী কলেজের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের সম্মানের শিক্ষার্থী।

এ ব্যপারে পটুয়াখালী ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মামুনুর রশিদ জানান, অফিসিয়ালি জানার পর এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বার্তাবাজার/এসআর