নববধুকে ভারতে পাচারের মামলায় স্বামী গ্রেপ্তার

পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে ভারতে পাচারের অভিযোগে স্বামী চিরঞ্জিত মল্লিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে তাকে তার নিজ বাড়ি সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত চিরঞ্জিত মল্লিকের বাবার নাম চন্দ্রিকা মল্লিক।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত বছরের ৬ ডিসেম্বর সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের কুমারখালির এক দিনমজুর তার মেয়েকে দেবহাটা উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের চন্দ্রিকা মল্লিকের ছেলে চিরঞ্জিত মল্লিকের সঙ্গে হিন্দু ধর্মমতে বিয়ে দেন। বিয়ের সময় নগদ তিন লাথ টাকা, এপাচি মোটর সাইকেল, ফ্রিজ, আলমারি, ছয় ভরি ওজনের সোনার গহণাসহ ১০ লাখ টাকা মূল্যের জিনিসপত্র যৌতুক হিসেবে দেন। বিয়ের তিন মাস যেতে না যেতেই বাবার কুপরামর্শ আরো পাঁচ লাখ টাকা শ্বশুরের কাছে চায় চিরঞ্জিত। বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনতে অপারগতা প্রকাশ করায় স্ত্রীকে নির্যাতন করতো চিরঞ্জিত ও তার বাপের বাড়ির লোকজন। একপর্যায়ে স্ত্রীকে মারপিট করে বাপের বাড়িতে তাড়িয়ে দেওয়ার ১০ দিন পর ২৩ জুলাই বিকেল সাড় ৫টার দিকে বান্ধবীর সঙ্গে বেড়াতে যাওয়ার পথে পরিতোষ মন্ডলের বাড়ির সামনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধের উপর থেকে আশাশুনি উপজেলার কাদন্ডা গ্রামের কুখ্যাত জুয়াড়ী সোহাগ হোসেন ও চিরঞ্জিত মাইক্রাবাসযোগে ওই দিনমজুরের মেয়েকে অপহরণ করে ভারতে পাচার করে। পরে জুয়াড়ী শহীদুল ইসলাম ও চন্দ্রকা মল্লিকের কাছে গেলে যৌতুকের টাকা না দেওয়ায় তারা ওই মেয়েকে ভারতে পাচার করছেন বলে জানিয়ে দেন। মেয়েকে উদ্ধার ব্যর্থ হয়ে ভিকটিমের বাবা বাদি হয়ে গত ৮ জুলাই আদালত মামলা করেন। আদালতের নির্দেশ মামলাটি রেকর্ড করে কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাসান হাফিজুর রহমান তদন্তভার উপপরিদর্শক জিয়ারত হোসেনের উপর ন্যস্ত করেন।
কালিগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক জিয়ারত হোসেন জানান, বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে চিরঞ্জিতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভিকটিম উদ্ধারের জন্য বৃহষ্পতিবার তাকে আদালতে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন জাননো হবে।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর