বন্যায় দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট

গত দু’দিনে সিলেটের নদীর পানি কিছুটা কমলেও এখনও বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে সুরমা ও কুশিয়ারার পানি। বন্যা আক্রান্ত হয়েছে জেলার প্রায় ৫ লাখ মানুষ। দেখা দিয়েছে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট। অনেক জায়গায় বিচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগ। পাথর কোয়ারি বন্ধ থাকায় বেকার হাজার হাজার শ্রমিক।

বন্যা যতোই দীর্ঘায়িত হচ্ছে ততোই বাড়ছে আক্রান্ত মানুষের কষ্ট। চারদিকে পানি, নেই কাজ, ফুরিয়ে গেছে ঘরের চাল। খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন বিপন্ন মানুষেরা।

জেলা শহরের সঙ্গে এখনো বিচ্ছিন্ন গোয়াইনঘাট উপজেলার সড়ক যোগাযোগ। রাস্তা বন্ধ থাকায় বিছনাকান্দি মুখী পর্যটকরা ফিরে যাচ্ছেন মাঝপথ থেকে। একজন বলেন, ‘পানির কারণে গাড়ি চালানো যাচ্ছে না।’ এক পর্যটক বলেন, ‘বিছানাকান্দি যেতে পারছি না, কারণ সড়কে অনেক পানি রয়েছে।’

বিপন্ন মানুষ ত্রাণ না পাওয়ার কথা বললেও প্রশাসন বলছে, ৬শ মেট্রিক টন চাল ও ৮লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১৩ উপজেলায়।

সিলেট ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মীর মো. মাহবুবর রহমান বলেন, ‘কোন লোক যেনো না খেয়ে থাকে না, এজন্য আমরা প্রত্যেকটা মানুষকে তালিকায় আনতে চাচ্ছি। এবং সরকার সবার সাথে আছে এই বার্তা টা আমরা তাদের দিতে চাই।’

মঙ্গলবার জরুরি প্রেস ব্রিফিং করে জেলে প্রশাসন জানায়, এ বন্যায় ৫০ হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১হাজার ঘরবাড়ি। বন্ধ রয়েছে ২ শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

বার্তাবাজার/আরএইচ

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর