মিরসরাইয়ে র‌্যাফেল ড্র নামক জুয়ার ফাঁদে সাধারণ মানুষ!

চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার আবুতোরাব স্বাধীনতা মেলায় জনসম্মুখে চলা র‌্যাফল ড্র নামক লটারীর টিকিট বিক্রির ধুম পরেছে পুরো এলাকায়।

প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কেউ মিনি পিকআপে, কেউ সিএনজিতে কেউবা ব্যাটারিচালিত রিক্সায় মাইকিং করে বিক্রি করছে লটারী নামক জুয়ার টিকিট। লটারীতে আকর্ষনীয় ও লোভনীয় অফারের ফেলানো ফাঁদে পরে আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। প্রতিদিন উপজেলার সব ইউনিয়নে অহরহ গাড়ী বিভিন্ন এলাকায় ঢুকে লটারীর টিকিট বিক্রি করছে। দেখে মনে হবে যেন লটারী নামক জুয়ার আখড়ায় পরিণত হয়েছে।

জানা গেছে, সম্প্রতি মিরসরাই উপজেলায় প্রত্যেক বছরের ন্যায় আবুতোরাব স্কুল মাঠে স্বাধীনতা মেলায় ‘দি আশার প্রদীপ র‌্যাফেল ড্র’ নামক লটারী চলছে। আর এসব লটারীর টিকিট র‌্যাফেল ড্র নামক জুয়ায় মাত্র ২০ টাকা মূল্যের টিকিটে অধিক টাকার আকর্ষনীয় ও লোভনীয় পুরস্কার জিতে রাতারাতি বড়লোক বনে যাবার স্বপ্নে টিকিট কিনতে হুমড়ি খেয়ে পরছে লোকজন। এতে স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে প্রায় সব শ্রেণী পেশার মানুষ আসক্ত হয়ে পড়ছে এই জুয়ার নেশায়। বিশেষ করে স্থানীয় ক্যাবল নেটওয়ার্ক সিডি চ্যানেলে সরাসরি প্রচার করার ঘোষনায় নিজ ঘরে বসে লটারির ড্র সরাসরি উপভোগ করতে পারায় টিকিট কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে লোকজন।

রবিবার সকালে দেখা যায় মহাসড়কে সিএনজি চলা নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও দি আশার প্রদীপ র‍্যাফেল ড্র ব্যানারে মহাসড়কে চলছে সিএনজি, পিকআপ। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেল, গরু, সোনার গহনা,নগদ টাকা সহ বিভিন্ন আর্কষনীয় পুরস্কারের ঘোষনা দিয়ে মন ভুলানো কথা বলে সকাল থেকে সন্ধ্যা অবদি বিরতিহীন ভাবে টিকিট বিক্রয় করে হচ্ছে। এই এলাকার রিক্সা/সিএনজি চালক থেকে শুরু করে অনেক শ্রমজীবি, পেশাজীবি মানুষের কাছে টিকিট কেনা যেন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার মত হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে র‌্যাফেল ড্র নামক ফেলানো ফাঁদে পরে আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মিরসরাইয়ের সাধারণ মানুষ।

শনিবার দুপুরে উপজেলা সদরে সিএনজি চালক আফছার উদ্দিন (৪৮) জানান, তিনি মটরসাইকেল পাবার আসায় ২০ টাকায় লটারীর টিকিট কিনেছেন। উপজেলার আবুতোরাব বাজারের সিএনজি চালক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জানান, র‌্যাফেল ড্র শুরু হবার পর থেকে তারা দামী পুরস্কার পাবার আসায় প্রতিদিন ৫ থেকে ১০ টি করে টিকিট কিনছেন।

মিরসরাই কলেজ রোড়ে ব্যবসায়ী বিকাশ চক্রবর্তী লটারি কিনতে দেখা যায়, তাকে লটারী কেনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভাই এটা আসলে ভালো কাজ না। নেশা থেকেই কেনা মূলত। দেখা যাক ভাগ্যে কি আছে।

এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিনের মোবাইলে ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর