পানিবন্দি ১০ হাজার পরিবার

তিস্তার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় লামনিরহাটে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন নদী তীরবর্তী পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা, আদিতমারী ও সদর উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের প্রায় ১০ হাজার পরিবার।

এরই মধ্যে শুকনো খাবার ও সুপেয় পানির অভাব দেখা দিয়েছে বন্যা কবলিত এলাকায়। এদিকে বন্যা নিয়ন্ত্রণে স্থায়ী প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণের আশ্বাস দিয়েছেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব।

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর কয়েকদিনের অবিরাম বর্ষণে অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে তিস্তার পানি। এতে নদীর দুকূল উপচে প্লাবিত হয়েছে সদরসহ ৪ উপজেলার অর্ধশতাধিক গ্রাম।

রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। বাসাবাড়িতে পানি ওঠায় অনেকে গবাদি পশু নিয়ে ঠাঁই নিয়েছেন উঁচু জায়গায়।

বন্যা কবলিত এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও শুকনো খাবার সংকট। এছাড়া পানি ঢুকে পড়ায় সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে জেলার ২৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

স্থানীয়রা বলছেন, পানির জন্য রাস্তায় উঠেও দেখা যাচ্ছে রাস্তায়ও পানি। এখনো পর্যন্ত খেতে পারিনি। টিউবওয়েল ডুবে গেছে। খাওয়ার পানিও নেই।

এদিকে রোববার বিকেলে বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব কবির বিন আনোয়ার।

এ সময় ত্রাণ বিতরণ শেষে তিস্তা পাড়ের মানুষকে বন্যার হাত থেকে রক্ষায় ১শ ২ কিলোমিটার স্থায়ী প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণের আশ্বাস দেন তিনি।

পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব কবির বিন আনোয়ার বলেন, পুরো এলাকাটা দুইপারে বাধ করে, ট্রেজিং করার একটা বিস্তারিত প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে।

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যা কবলিত এলাকায় ১শ ১০ মেট্রিক টন চাল, আড়াই লাখ টাকা ও ৫ শ’ কার্টুন শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর