গলাকাটা লাশ উদ্ধার: ৬ দিনেও গ্রেফতার হয়নি কেউ

শেরপুর জেলার সদর উপজেলার দিঘলদী মোল্লাপাড়া গ্রামে ধানক্ষেত থেকে লিটন মিয়া (১৮) নামে এক যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধারের ঘটনায় দায়েরকৃত হত্যা মামলার ৫ দিন অতিবাহিত হলেও গ্রেফতার হয়নি কোন আসামি। এছাড়াও উদঘাটন হয়নি হত্যা কান্ডের রহস্য।

জানা যায়, সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের দিঘলদী মোল্লাপাড়া গ্রামের মুরগী ব্যবসায়ী অহেজ আলীর ছেলে লিটন মিয়া ১ জুলাই সোমবার বিকেলে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর রাতে আর সে বাড়ি ফেরেনি। পরদিন বাড়ি থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরের একটি ধানক্ষেত থেকে লিটনের গলাকাটা ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করে সদর থানার পুলিশ। এ ঘটনায় ৩ জুলাই নিহত লিটনের বাবা বাদী হয়ে শেরপুর সদর থানায় স্থানীয় সরদ আলীর ছেলে শহীদুল ইসলাম (৪০), আইজউদ্দিনের ছেলে মোঃ হাফিজুল (৩০), আরেক অহেজ আলীর ছেলে রাকিব মিয়া (২৩) সহ ১৩ জনকে স্ব-নামে ও আরও ৭/৮ জন অজ্ঞাতনামাকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আসামিদের মধ্যে এরপর ঘটনার ৬ দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত কোন আসামি গ্রেফতার না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন নিহতের পরিবার। আসামিদের বিরুদ্ধে মাদক আইন, চাঁদাবাজী ও এলাকায় মারপিট ও ত্রাস সৃষ্টির ঘটনায় বেশ কয়েকটি মামলা আদালতে চলমান রয়েছে।

নিহতের পিতা ও মামলার বাদী অহেজ উদ্দিন জানান, একই এলাকায় বসবাসের কারণে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আসামিদের সাথে পূর্ব থেকেই শত্রুতা ও মামলা ছিল। এর জের ধরে আমার ছেলে লিটনকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার এসআই আনছার আলী বলেন, ঘটনাটি রাতের আধারে সংগঠিত হয়েছে তাই রহস্য উন্মোচন করতে একটু সময় লাগছে। তবে আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যহত আছে।

এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, লিটন হত্যার রহস্য উন্মোচনে তদন্ত চলছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যেই আসামিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর