জুনিয়র-সিনিয়র দ্বন্দ্বে স্কুলছাত্র শাহেদ খুন

সিলেট নগরে ছুরিকাঘাতে স্কুলছাত্র শাহেদ আহমদ হত্যার পেছনে ছিল ‘জুনিয়র-সিনিয়র’ দ্বন্দ্ব। নিহত শাহেদ ছিল ‘জুনিয়র’পক্ষের। তাদের চলাফেরায় ক্ষুব্ধ হয়ে শাহেদকে ছুরিকাঘাত করে ‘সিনিয়র’পক্ষ। তবে এতে শাহেদ নিহত হওয়ায় হামলাকারীরা অনুতপ্ত।

শাহেদ হত্যার পর গ্রেপ্তার হওয়া সাতজন পুলিশের কাছে এ রকম স্বীকারোক্তি দিয়েছে। পরে চারজন হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া সাতজনই নিহত শাহেদের প্রায় সমবয়সী। তবে তারা ‘সিনিয়র’পক্ষের সদস্য।

সিলেট মহানগর পুলিশের বিমানবন্দর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জগৎজ্যোতি গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, মহানগর বিচারিক হাকিম আদালত-১-এর বিচারক জিয়াদুর রহমানের আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে চারজন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গত রোববার রাত প্রায় আটটার দিকে হাউজিং এস্টেট এলাকার মুখে ছুরিকাঘাতে খুন হয় শাহেদ। সোমবার বড় ভাই জাহেদুর সাইফুল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনের নামোল্লেখের পাশাপাশি অজ্ঞাতনামা পাঁচজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। আটক সাতজনকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে জানিয়ে বিমানবন্দর থানার ওসি এস এম সাহাদত হোসেন বলেন, ঘটনার পরপরই এজাহারে নাম থাকা ১৯ আসামিই গা-ঢাকা দিয়েছিল। কয়েক দফা অভিযানে সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর