ডাক্তারের অভাবে বন্ধ সিজার কার্যক্রম

ঢাকার অদূরে ধামরাইয়ের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গত ১ বছর ধরে নেই ‘আ্যানেস্থেশিয়া’র চিকিৎসক। ফলে সিজার কাকার্যক্রম বন্ধ থাকায় দূর-দূরান্ত থেকে আসা গ্রামের নিম্ন আয়ের পরিবারের গর্ভবতী মায়েদের ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। পাশাপাশি শ্রেফ অব্যবহৃত পড়ে থাকার কারণে দামী যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ধামরাই উপজেলায় ৬ লাখ লোকের স্বাস্থ্যসেবার জন্য একমাত্র নির্ভরযোগ্য সরকারি হাসপাতাল হলো ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এখানে গর্ভবতী মায়েদের অপারেশনের (সিজার) জন্য একটি অত্যাধুুনিক অপারেশন থিয়েটার
থাকলেও গত প্রায় ১ বছর ধরে ‘আ্যানেস্থেশিয়া’র চিকিৎসক না থাকায় অপারেশন থিয়েটারে কোন অপারেশন হচ্ছে না। ফলে উপজেলা এর ইউনিয়ন গুলি থেকে আগত গর্ভবতী মায়েদেরকে স্থানীয় মোটা অংকের টাকা খরচ করে প্রাইভেট ক্লিনিকে বাধ্য হয়ে ভর্তি হতে হচ্ছে। এতে করে সাধারণ খেটে খাওয়া পরিবারের গর্ভবতী মহিলারা চরম বিপাকে পড়ছেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মোঃ ফজলুল হক বলেন, আমাদের এখানে অ্যানেস্থেশিয়ার যে ডাক্তার ছিলেন তিনি গত বছর চলে যাওয়ায় আমরা প্রায় এক বছর ধরে কোন সিজার অপারেশন করতে পারছি না। অ্যানেস্থেশিয়ার ডাক্তার দেয়ার জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানানো হয়েছে এবং খুব শীঘ্রই এই পদে চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হবে বলে কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিয়েছেন।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর