লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার রমনীগঞ্জ গ্রামের প্রথম শ্রেণির ছাত্র রাহুল হোসেন। আর দশজন শিশুর মতোই সে তার বাবা-মায়ের কাছে থাকতে চায়। কিন্তু বাবা অন্যত্র বিয়ে করে প্রায় ভুলে গেছে রাহুলকে।
আর তাই সেই বাবাকে পেতে মাকে নিয়ে বাবার বাড়ির সামনে তিন দিন যাবৎ অনশনে বসেছে ওই ছোট্ট শিশু।
জানা গেছে, উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের পূর্ব ফকিরপাড়া গ্রামের ইউনুছ আলীর মেয়ে রেবিনা বেগমের সঙ্গে ২০০৬ সালে একই উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের রমনীগঞ্জ গ্রামের এমদাদুল হকের বিয়ে হয়।
বিয়ের পর ভালোই চলছিল তাদের সংসার। সেই সংসারে জন্ম নেয় দুটি সন্তান। এরমধ্যে এক সন্তান মারা যায়। কিন্তু পারিবারিক কারণে ৩ বছর ধরে সংসারে ঝগড়া-বিবাদ শুরু হয়।
ফলে মা ও বোনের চাপে সন্তানসহ স্ত্রীকে তার শ্বশুরবাড়িতে পাঠিয়ে দেয় ইমদাদুল হক। তখন থেকে স্থানীয়ভাবে সালিশ-বৈঠক করেও স্বামীর ঘরে ফিরতে পারেননি রেবিনা।
ফলে লালমনিরহাট আদালতে মামলা দায়ের করেন রেবিনা বেগম। কিন্তু তাতেও কাঙ্ক্ষিত ফল না পাওয়ায় নিজ সন্তানকে নিয়ে বৃহস্পতিবার স্বামীর বাড়িতে যান রেবিনা।
কিন্তু তাকে দেখামাত্র বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়। ফলে ছোট্ট শিশু রাহুলকে নিয়ে বাড়ির সামনে অনশনে বসেন রেবিনা বেগম।
এ বিষয়ে এমদাদুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলতে চাই না।
হাতীবান্ধা থানার ওসি ওমর ফারুক বলেন, এ নিয়ে কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।