মালয়েশিয়ায় দূতাবাসের সেবা ব্যাহত, রাষ্ট্রদূতের দু:খ প্রকাশ

করোনায় দূতাবাসের পাসপোর্ট ও অন্যান্য সেবা ব্যাহত হওয়ায় দূঃখ প্রকাশ করলেন হাইকমিশনার মো.গোলাম সারোয়ার। রবিবার (১০ অক্টোবর) দূতাবাসের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজের লাইভে এসে এ দু:খ প্রকাশ করেন তিনি।

এ ছাড়া মালয়েশিয়া প্রবাসীদের কাছে দ্রুত পাসপোর্ট পৌছে দেওয়া সহ বিভিন্ন সেবামূলক কর্মকান্ড ডিজিটাল সেবার মাধ্যমে আরো উন্নত সেবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম সারোয়ার।

করোনা কালে মালয়েশিয়া প্রবাসীদের নতুন ও পূরাতন মেয়াদেত্তীর্ণ পাসপোর্ট রিনিউ করতে ৬ থেকে ৮ মাস সময় লাগছে। তবে কোন কোন ক্ষেত্রে আরও কিংবা বেশি সময় লাগছে। এতে প্রবাসীদের ভিসা রিনিউ ও নতুন বৈধকরণ প্রক্রিয়ায়ও অংশগ্রহণে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। অনেক প্রবাসীর অভিযোগ ছিল পোসলাজু (পোস্ট অফিস) এর মাধ্যমে পাসপোর্ট পেতে আবেদন করলে ২ মাসেও দূতাবাসের অনলাইনে জমা হচ্ছে না।

এ বিষয়ে হাইকমিশনার লাইভে বলেন, বৈশ্বিক করোনা মহামারির কারণে, বাংলাদেশে সার্ভার ডাউন ও সম্প্রতি পাসপোর্ট আবেদন বেড়ে যাওয়ার কারণে পাসপোর্ট পেতে একটু সময় লেগেছে। তিনি বলেন, আমরা যেভাবে প্রবাসী ভাই বোনদের দ্রুত উন্নত সেবা দিতে চেয়েছি তা আমরা দিতে পারিনি।

তাছাড়া বিগত দিনে বিভিন্ন ত্রুটি বিচ্যুতি হয়েছে এজন্য তিনি আন্তরিক ভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি চেষ্টা করছেন কিভাবে দ্রুত মালয়েশিয়ায় থাকা প্রবাসীদের হাতে পাসপোর্ট সহ অন্যান্য সেবা পৌঁছে দেওয়া যায়। তিনি দাবি করেন গত ১ বছরে দূতাবাস থেকে ২ লাখেরও বেশি পাসপোর্ট বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১ লাখ পাসপোর্ট বিতরণ করেছেন পোস্ট অফিসের মাধ্যমে।

আগে যেখানে পাসপোর্টের আবেদন মাসিক চাহিদা ১০ হাজার ছিল এখন সেটা বেড়ে ৩০ থেকে ৪০ হাজার হয়েছে। তাই চাহিদা বাড়লেও লোকবল বাড়েনি লোকবল। সরকার চেষ্টা করছে ডিজিটাল সেবার মাধ্যমে এর সমন্বয় করার।

এসময় লাইভে উপস্থাপনা করেন দূতালয় প্রধান রুহুল আমিন এবং লাইভে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন পাসপোর্ট ও ভিসা শাখার প্রথম সচিব মোঃ কেয়ামুদ্দিন।

আশরাফুল মামুন/বার্তা বাজার/টি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর