সেতু দিয়ে দুই পাড়ের মানুষের মধ্যে সেতুবন্ধন

মো: মিজানুর রহমান, সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি: সিরাজদিখানে দীর্ঘদিন পর হলেও একটি সেতুর কারনে দুই গ্রামের মানুষের ভোগান্তির অবসান হয়েছে। সেতুটি হওয়ায় নতুনচর গ্রামের ও পুরান ভাষানচর গ্রামের মানুষের স্বপ্ন পূরণ হলো।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানাযায়, পুরানভাষান চর গ্রামে ইছামতি শাখা নদীর উপরে মাদ্রাসা সংলগ্ন স্টিলের সেতুটি হওয়ায় এ অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের দূভোর্গ অবসান ও স্বস্তি ফিরে এসেছে। এ ব্রিজ হওয়ায় নতুনচর ও পুরান ভাষানচরসহ আশে পাশের কয়েক গ্রামের প্রায় ৮ হাজার মানুষের চলাচল সহজ হয়েছে। এই ব্রিজের মাধ্যমে তিনটি মাদ্রাসা ও একটি প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষার্থীরা নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারবে। তারা আরো বলেন, সিএসজি চালিত থ্রী হুইলার,অটো রিক্সা, ইজি বাইকসহ ছোট যানবাহন দিয়ে বালুচর ও লতব্দী ইউনিয়নে অতি অল্প সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে।

নতুনচর গ্রামের নূর মোহাম্মদ মাষ্টার বলেন, এ ব্রিজের কারনে শিক্ষার্থীদের আর নৌকার জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। আগে নৌকার জন্য ঘন্টরপর ঘন্টা ছাত্র-ছাত্রীদের দারিয়ে থাকতে হত। কোন কোন সময় মাঝিও থাকত না। অনেক কষ্ট করে ছাত্র-ছাত্রীসহ এলাকার মানুষ নদী পারাপার হত।

লতব্দী ইউপি চেয়ারম্যান এস এম সোরহাব হোসেন বলেন, ১৯৯২ সালে চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে এ ব্রিজটি করা আমার স্বপ্ন ছিল। উপজেলা চেয়ারম্যান হাজী মহিউদ্দিন আহমেদের সহযোগিতায় ইতিম্যধ্যে ব্রীজটির কাজ আল্লাহর রহমতে শেষ করতে পেরেছি। ব্রীজটি হওয়ায় নতুনচর, পুরান ভাষানচর, নতুন ভাষানচর,কয়রাখোলা, চন্ডিবর্দি, নয়াগাঁও এলাকার হাজারো মানুষের যাতায়াতে ভোগান্তির অবসান ঘটেছে। এ ব্রীজটি খুবই জরুরী ছিল, তা সম্পন্ন হয়েছে। এলাকার মানুষ এখন খুশি।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর