বিনিয়োগের ঝুঁকি বাড়ছে শেয়ারবাজারে

গুরুত্ব বাড়ার পাশাপাশি ঝুঁকিও বাড়ছে পুঁজি বাজারে। প্রধানত কম মুলধনী কোম্পানীগুলোতে বিনিয়োগ করে বিপাকে রয়েছেন অনেক ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা। চলতি বাজার সূচক বিশ্লেষন করে যা বোঝা যাচ্ছে তা হচ্ছে, প্রায় কয়েক মাস যাবত অনিয়ন্ত্রিন ভাবে বাড়তে থাকা স্বল্প মুলধনী ও দুর্বল কোম্পানীগুলোর শেয়ারের দাম বাড়ছে না, বরং ক্রমেই কমে যাচ্ছে দিন কি দিন। বিশ্লেষন বলছে, বিগত কয়েক মাসের ব্যবধানে কিছু শেয়ারের দাম দ্বিগুন থেকে ছয়গুন অব্দী বৃদ্ধি পেয়েছে।

এদিকে বাজার বিশ্লেষকদের বক্তব্য, শেয়ারের দাম যত বাড়বে বিনিয়োগ ঝুঁকি ততই বৃদ্ধি পাবে। সেই হিসেব করলে, গত বছরের তুলনায় এবছর শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করা কিছুটা বেশিই ঝুঁকিপূর্ন।

ঢাকা স্টক মার্কেটের বিনিয়োগ ঝুঁকিযে বেড়েছে তার প্রমান, এবছরে একাধিক কোম্পানির ক্ষেত্রে ডিএসই’র সতর্কতা থেকেই ধারনা করা যাচ্ছে। সর্বশেষ সতর্কতায় প্রধান পুঁজিবাজার তিনটি কোম্পানীর বিরুদ্ধে সতর্কতা জারী করায় এ সম্ভাবনা আরো দৃঢ় হয়েছে। সতর্কতা মোতাবেক ঝুঁকিপূর্ন কোম্পানীগুলো যথাক্রমে, সাইফ পাওয়ারটেক, ডেল্টা লাইফ ও ইউনিক হোটেল লিমিটেড।

দেখা গেছে, গত এক মাসে সাইফ পাওয়ারের শেয়ারের দাম ৩৮.৭০ শতাংশ বেড়েছে। একই ভাবে বেড়েছে ডেল্টা লাইফ ইন্সুরেন্সে ৩৯.২৮ শতাংশ এবং ইউনিট হোটেল ৪২.৪০ শতাংশ।

বৈশ্বিক জিডিপিতে শেয়ার বাজারের অবদান ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করার লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে কমিশন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার ও সাবেক সচিব মো. আব্দুল হামিদ। তিনি আরো বলেন, জিডিপিতে আমাদের মার্কেটের অবদান রাখতে যত রকম শক্তিশালী পদক্ষেপ নেয়া দরকার তার পুরোটাই আমরা নিতে বদ্ধ পরিকর। গত বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান। এছাড়াও এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিডিবিএল-এর চেয়ারম্যান শেখ কবির হোসাইন।

গত সপ্তাহে শেয়ার বাজার কিছুটা মন্দায় গেলেও দাম বেড়েছে বড় মুলধনী বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের। এতে ডিএসইর মুলধন প্রায় ছয়শ কোটি টাকা বেড়ে এখন দাড়িয়ে ৮১ হাজার ৫৪৩ কোটি টাকা।

বাজার বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, প্রধান মূল্যসূচকের পাশাপাশি গত সপ্তাহে ইসলামি শরিয়াহ্ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ্ সূচকও বেড়েছে।

গত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে দুই হাজার ৫৪৪ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। তার আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় দুই হাজার ২২৯ কোটি ১৩ লাখ টাকা। তথ্য বলছে, গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয় ১২ হাজার ৭২৪ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১১ হাজার ১৪৫ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন বেড়েছে এক হাজার ৫৭৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা বা ১৪ দশমিক ১৭ শতাংশ।

বার্তা বাজার/ও

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর