আবদুল করীম, লোহাগাড়া প্রতিনিধি: লোহাগাড়ায় নিজের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে নুরুল আলম (৩৭) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার(৩ জুলাই) রাতে তাঁকে আটক করে লোহাগাড়া থানা পুলিশ। তার বাড়ি উপজেলার পুটিবিলা সরাইয়া নলুয়া এলাকায়। সে ওই এলাকার ফয়েজ আহমদের ছেলে বলে জানা গেছে।
জানা যায়, দীর্ঘ ৬ মাস ধরে ধর্ষক নুরুল আলম তার মেয়েকে ধর্ষণ করে আসছে। ধর্ষিতা এখন প্রায় ৬ মাসের অন্ত:সত্তা। নিজের মেয়েক ধর্ষণের ঘটনাটি জানাজানি হলে স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পরে লোহাগাড়া চুনতি পুলিশ ফাঁড়ির এসআই পীযূষ চন্দ্র সিংহ তাঁকে আটক করে থানা হেফাজতে নিয়ে আসে।
ধর্ষিতা মেয়ে জানান, ছোট কালে তার মা মারা যাওয়ায় সে নানার বাড়ি চুনতি পান্ত্রিশা গ্রামে বড় হয়। তার বাবা আরো একটি বিয়ে করে। সে সংসারে একটি ছেলে সন্তান হয়। ওই সৎ মা মারা যায়। আবারো বিয়ে করে তার বাবা। সেই সংসারে ২ ছেলে রয়েছে।
গত ৬/৭ মাস আগে সে নানার বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে যায়। ওই সময় তার সৎ মা বাপের বাড়ি যায়।
ধর্ষিতা মেয়ে আরো জানায়, তার সৎ মা বাপের বাড়ি যাওয়ার কয়েকদিন পর বাড়িতে রাতে ঘুমানোর সময় মূখ চেপে ধরে হুমকি দিয়ে জোর করে ধর্ষন করে। ঘটনাটি বাড়ির পার্শ্বের লোকদের বললে তারা কেউ বিশ্বাস করেনি। এর কয়েকদিন পর আবারো রাতে ঘুমানোর সময় জোর করে ধর্ষণ করলে পরদিন নানার বাড়ি চলে যায়। নানার বাড়ি থেকে আবারো বাপের বাড়ি যায় সে। তখনো কয়েকবার ধর্ষণ করে তাঁকে।
সে জানায়, ঘটনার বিবরণ বাড়ির পাশের অন্যান্য মহিলদের বললে তারা একজন ধাত্রী চিকিৎসকের কাছে বাচ্ছা নষ্ট করার জন্য নিয়ে যায়। সেখানে সবাই তাকে ফেলে চলে গেলে সে একা বাড়ি চলে যায়।
এ বিষয়ে এসআই পীযূষ চন্দ্র সিংহ জানান, নিজের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে আটক করে স্থানীয়রা খবর দিলে অভিযুক্তকে থানা হেফাজতে আনা হয়।
লোহাগাড়া থানার ওসি মো. সাইফুল ইসলাম আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন অভিযুক্তকে থানা হাজতে রাখা হয়েছে। মেয়ের মেডিকেল রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না।