জেলার মণিরামপুরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গোলাম কিবরিয়া নামে এক এনজিও কর্মকর্তাকে আটক করেছে পুলিশ। বর্তমানে ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা। এরপর ধর্ষক কিবরিয়কে পৌর এলাকার তাহের গ্রামের ভাড়া বাসা থেকে আটকের পর আদালতে সোপার্দ করা হয়।
আটক কিবরিয়া ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা উপজেলার আসাননগর গ্রামের মৃত চাঁদ আলী বিশ্বাসের ছেলে। তিনি পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশনের মণিরামপুর শাখার কর্মকর্তা।
এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার ওই স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে মণিরামপুর থানায় ধর্ষণ মামলা করেছেন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, গোলাম কিবরিয়া মণিরামপুর উপজেলার ফতেয়াবাদ গ্রামে বিয়ে করে চাকরিজীবী স্ত্রীকে নিয়ে পৌর এলাকার তাহেরপুর গ্রামে ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। ওই বাসায় স্কুল ছাত্রী দরিদ্র পরিবারের হওয়ায় অভাবের তাড়নায় কাজের মেয়ে হিসেবে কাজ করত। পাশাপাশি স্থানীয় একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ালেখা করে।
অভিযোগ রয়েছে স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তিনি ওই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করেছেন কিবরিয়া। এক পর্যায়ে ওই কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়লে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে সে বাবার বাড়িতে চলে যায়।
মামলার বাদী কিশোরীর বাবা জানান, মেয়েকে যশোরের একটি ক্লিনিকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য গেলে চিকিৎসক জানান তার মেয়ে প্রায় ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এরপর তিনি গত সোমবার রাতে মণিরামপুর থানায় গিয়ে ধর্ষণ মামলা করেন। ওই রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে পৌর এলাকার তাহেরপুর গ্রামের ভাড়াবাসা থেকে গোলাম কিবরিয়াকে আটক করে।
বার্তাবাজার/এএস