আলফাডাঙ্গা ভূমি অফিসের কার্যক্রম চলে অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে!

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা ভূমি অফিসে প্রায় ৪ মাস ধরে সহকারী কমিশনারের (ভূমি) পদটি শূন্য রয়েছে। এছাড়া কানুনগো পদটি শূন্য রয়েছে দীর্ঘ ১৪ বছরেরও বেশি সময় ধরে।

গুরুত্বপূর্ণ এ দু’টি পদ শূন্য থাকায় উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ভূমি সংক্রান্ত সেবা কার্যক্রম অত্যন্ত মন্থর গতিতে চলছে। বিশেষ করে মিসকেস, ভিপি, নামজারী ও জমাভাগ, ডিমার্কেশন, বিভিন্ন অভিযোগকারী লোকজন বেশি বিপাকে পড়েছে। ফলে বিভিন্ন ফাইলপত্রও আটকে রয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ওই অফিসে সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষ।

উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবছরের জুন মাসের ৩ তারিখে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মাহবুবুল ইসলাম পদোন্নতির কারণে বদলি হয়ে অন্যত্র চলে গেছেন। তারপর থেকে বর্তমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তৌহিদ এলাহী নিজ দায়িত্বের পাশাপাশি অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে ভূমি অফিসের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।

এছাড়া অফিসটিতে কানুনগোর পদটি শূন্য রয়েছে দীর্ঘ ১৪ বছরেরও অধিক সময়। সর্বশেষ কানুনগোর পদটিতে দায়িত্বে ছিলেন ফজলুর রহমান জমাদার। এরপর তিনি অন্যত্র চলে যাওয়ার পর পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নামের সার্ভেয়ার। বর্তমানে কানুনগোর দায়িত্বটি পালন করছেন পার্শ্ববর্তী বোয়ালমারী উপজেলা ভূমি অফিসের জাকির হোসেন সরদার।

তিনি সপ্তাহে দু’দিন এসে দায়িত্ব পালন করেন। শুধু তাই নয়, উপজেলাটির ১নং বুড়াইচ ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তার পদটিও দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে। সেখানে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন পৌর ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা অধীর কুমার গুহ।

কয়েকটি ইউনিয়নের ভূমি অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, দীর্ঘদিন এসিল্যান্ডের পদটি খালি থাকায় জন সাধারণের অনেক ফাইল আটকে আছে। গত কয়েক মাস ধরে ভূমি সংক্রান্ত বহু মামলার নিষ্পত্তি হচ্ছে না।

জমির নামজারি জমাখারিজের অনেক আবেদন জমে আছে অফিসে। এগুলো সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার স্বাক্ষর না হওয়ায় আবেদকারীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।

পৌর ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা অধীর কুমার গুহ বার্তা বাজার’কে বলেন, ‘আমার দায়িত্ব পৌর ভূমি অফিসে। কিন্তু বুড়াইচ ভূমি অফিসে সহকারী কর্মকর্তার পদটি শূন্য থাকায় সেখানেও দায়িত্ব পালন করতে হয়। দুই জায়গা দায়িত্ব পালন করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।’

এ বিষয়ে আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদ এলাহী বার্তা বাজার’কে জানান, ‘পদগুলো শূন্য আছে তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানেন। তবু আমি আবারও শূন্যপদগুলো পূরণের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।’

মিয়া রাকিবুল/বার্তা বাজার/টি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর