‘বাবা জহিরকে ক্ষমা করো না লিখে’ কিশোরীর আত্মহত্যা

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রী আত্মহত্যার তিন দিনের মাথায় সোসাইড নোট পাওয়া গেছে। এ নিয়ে নিহত কিশোরী স্কুলছাত্রীর বাবা আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। তবে রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পর্যন্ত পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

উপজেলার আঠারবাড়ী ইউনিয়নের তেলুয়ারী গ্রামের সাইফুল ইসলামের মেয়ে মীম আক্তার। সে স্থানীয় আঠারবাড়ী এমসি উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। মীমের সঙ্গে প্রতিবেশী বাচ্চু মিয়ার ছেলে একই বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র জহিরুল মিয়ার প্রেমের সম্পর্ক ছিলো।

প্রেমের সম্পর্কের টানা পোড়েনে গত ২২ সেপ্টেম্বর রাতে বিষপানে আত্মহত্যা করে মেয়েটি। পরদিন ময়নাতদন্ত শেষে তার লাশ দাফন করা হয়। মীমের মৃত্যুর পর শনিবার তার পরিবার একটি সোসাইড নোট পায়।

তাতে লেখা ছিলো-‘বাবা মা ভাই বোনরা তোমরা আমাকে কমা করে দিও। বাবা তুমি এরা বাড়ির বাচ্চুর ছেরা জহিরুলেরে কমা করিও না। এ আমার জীবনটাকে নষ্ট করে দিয়ে চলে গেছে। আমি এত বড় পাপ নিয়ে বাচে থাকতে পারব না। ভালো থেকো বাবা আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি, বাবা আমার বেঁচে থাকার অনেক স্বপ্ন ছিল কিন্তু ও আমাকে বেঁচে থাকতে দিল না’।

এ ঘটনায় গতকাল শনিবার রাতে নিহত কিশোরীর বাবা সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে থানায় মামলা করেছেন। এতে জহিরুল মিয়াকে আসামী করা হয়েছে।

ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি আবদুল কাদের মিয়া বলেন, ঘটনার পর থেকে জহিরুল পলাতক। তাকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।

আরিফুল হক/বার্তা বাজার/টি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর