ছাত্রলীগের মিছিলে বোমা-গুলি

যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি কামরুজ্জামান মিলনকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় প্রতিবাদে নওয়াপাড়ায় সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের আটক করা না হলে যশোরের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অচলের হুঁশিয়ারি দেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রওশন ইকবাল শাহী।

এদিকে প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিলে বোমা বিষ্ফোরণ ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও নওয়াপাড়া বাজারের ব্যবসায়ী ও পথচারীদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। মুহুর্তের মধ্যে বাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়।

বুধবার বিকালে অভয়নগর উপজেলা ও নওয়াপাড়া পৌর ছাত্রলীগের উদ্যোগে এক প্রতিবাদ সমাবেশ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়।

ওই প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন অভয়নগর উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক শাহ্ খালিদ মামুন।

প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রওশন ইকবাল শাহী, যশোর এমএম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী তৌহিদুর রহমান, বাঘারপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি বায়েজিদ হোসেন, যশোর জেলা ছাত্রলীগ নেতা মোমেল হোসেন, রিয়াজুল ইসলাম রজিন, সালাউদ্দিন পিয়াস, আশিকুর রহমান হৃদয়, মনিরামপুর কলেজ শাখা ছাত্রলীগের আহবায়ক দ্বীপ হোসেন, অভয়নগর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক রওশন কবীর টুটুল, সরদার জসিম উদ্দিন, কাজী আহাদুর রহমান, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা তসলিম হোসেন, সুজন পাটোয়ারী, আবু বক্কার বাবু, পৌর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।

অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহমেদ শান্ত।প্রতিবাদ সমাবেশে যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রওশন ইকবাল শাহী বলেন, নওয়াপাড়া পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি কামরুজ্জামান মিলনের ওপর হামলাকারীদের আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আটক করতে না পারলে যশোর জেলার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

সমাবেশ শেষে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল নওয়াপাড়া রেলস্টেশন বাজার প্রদক্ষিণ শেষে ফেরার পথে ইউসিবিএল ব্যাংকের সামনে পৌঁছালে পরপর তিনটি বোমার বিষ্ফোরণ ও তিন রাউন্ড গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে।

এতে হতাহতের কোন ঘটনা না ঘটলেও আতংকে বাজারের ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়। লোকজন দিক-বেদিক ছোটাছুটি করে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ ঘটনায় নওয়াপাড়ায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।এ ব্যাপারে অভয়নগর থানার ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। এখন পর্যন্ত মিলনের পক্ষ থেকে কোনো মামলা বা অভিযোগ দায়েরও করা হয়নি।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বিকালে নওয়াপাড়া পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি কামরুজ্জামান মিলনকে কুপিয়ে জখম করে সন্ত্রাসীরা। অপরদিকে কামরুজ্জামান মিলনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হতে পারে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর