১৭ কর্মীর বিপরীতে তিনজন দিয়ে হাঁস প্রজনন খামার!
জেলার বেলকুচির আঞ্চলিক হাঁস প্রজনন খামারটির সঠিক ব্যবস্থাপন ও সুষ্ঠু তদারকি করা গেলে দারিদ্র বিমোচনে আরও বেশি ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন স্থানীয়রা। কিন্তু পর্যাপ্ত জনবলের অভাবে সম্ভাবনাময় খামারটি খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে। খামারটির অবকাঠামো অনুযায়ী ১৭ জন কর্মীর বিপরীতে রয়েছে মাত্র তিনজন।
এতে ব্যাহত হচ্ছে হাঁসের বাচ্চা ও ডিম উৎপাদন। জেলায় একমাত্র আ লিক হাঁস প্রজনন খামারের অবকাঠামো ও আধুনিক যন্ত্রপাতি ঠিকই থাকলেও নেই প্রশিক্ষিত লোকবল।
জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, যমুনা চরা লের মানুষকে হাঁস পালনের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করতেই যমুনার পাড়ের শাহপুর গ্রামে ২০১৩ সালে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে হাঁস প্রজনন খামার প্রতিষ্ঠা করে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। খামারটিতে তিন হাজার হাঁস পালনের ধারণক্ষমতাসম্পন্ন ছয়টি শেড, ২৮ হাজার ডিম ফুটানোর ধারণক্ষমতা সম্পন্ন ইনকিউবেটর, হ্যাচারি ঘর ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপকরণ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) খামারটিতে গিয়ে দেখা যায়, ৫ শতাধিক বড় হাঁস ও সারে ৪’শ এর মতো হাঁসের বাচ্চা রয়েছে। আর কর্মী রয়েছে মাত্র তিনজন। অধিকাংশ শেড ফাঁকা পড়ে আছে।
ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানোর জন্য আধুনিক ও উন্নতমানের যন্ত্রটিতে বাচ্চা উৎপাদন একেবারেই বন্ধ রয়েছে। দায়িত্বে থাকা কর্মচারি টি এম জিকো বলেন, দক্ষ জনবলের অভাব তো আছেই, একই সঙ্গে প্রয়োজন মতো হাঁসের খাবার সরবরাহ না থাকায় খামারটি এমন বেহাল হয়ে গেছে।
এ প্রসঙ্গে রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সোনিয়া সবুর বলেন, এখানে যে হাঁসগুলো পালনের কথা, সেগুলো দেশীয় জাতের তুলনায় দ্রুত বাড়ে এবং বেশি পরিমাণে ডিম দেবে। তাই এই অঞ্চলে হাঁস প্রজনন খামারটি হওয়ার পর থেকে অনেকে লাভের আশায় বাণিজ্যিকভাবে হাঁস পালনের খামার করেন। কিন্তু তাঁরা সময়মতো হাঁসের বাচ্চা না পেয়ে দিনদিন আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন।
বেলকুচি উপজেলা সহকারি প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোছা. রেহানা খাতুন জানান, প্রয়োজনীয় লোকবল ও বরাদ্দ পেলেই এই খামার যমুনা চরা লের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারবে।
এদিকে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ গৌরাংগ কুমার তালুকদার জানান, হাঁস প্রজনন খামারটি দীর্ঘদিন রাজস্ব খাতে না থাকায় যথাযথভাবে বরাদ্দ ও লোকবলের অভাব পূরণ করা সম্ভব হয়নি। চলতি বাজেটে এই খামার রাজস্ব খাতের অন্তর্ভুক্ত করেছে সরকার। তাই খুব দ্রুত জনবল নিয়োগের মাধ্যমে খামারটির উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব হবে।
এম এ মালেক/বার্তা বাজার/টি