দেশের জনগণকে মুক্ত করতে একটা মরণকামড় দিতে হবে: গয়েশ্বর

আমি আগে থাকব, আপনারা আমার পেছনে থাকবেন- সেই জায়গাটায় আসতে হবে বলে জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমরা দীর্ঘকাল যদি ভালো থাকতে চাই, দেশের জনগণকে মুক্ত করতে চাই, স্বল্প সময়ের জন্য একটা মরণকামড় দিতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে সার্বভৌমত্ব রক্ষা পরিষদের উদ্যোগে ‘সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষা’ শীর্ষক এই আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান।

সরকারের উদ্দেশ্যে গয়েশ্বর বলেন, ‘ভারতকে আপনি তুষ্ট করতে পারবেন না সব দিলেও। সেজন্য বলছি, দেওয়া-দেয়ি বন্ধ করেন। এখন জনগণকে দেন। কী দেবেন? এই যে ১২ বছর যাবত গণতন্ত্র ভ্যানিটি বেগে রাখছেন- এটা খুলে দেন। যে আসেন ভোট দেন, আমি সরে যাব।’

‘অর্থাৎ নির্বাচনে আমি আসব তবে আমি সরকারে থাকব না- এইটুকু বুক টান করে বলেন। তাতে কিছু লোকের ইতিবাচক প্রশংসা পাবেন ভোটে পাস করেন আর না করেন। ওই ইতিবাচক প্রশংসাটা হবে আগামী দিন আপনাকে এই বাংলাদেশে নিরাপদে রাজনীতি করার ক্ষেত্র।’

এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘দুর্বল সরকারকে ব্ল্যাকমেইল করা সবার পক্ষে সম্ভব, দেশের অভ্যন্তরে সম্ভব, বিদেশেও সম্ভব। এই নানা ধরনের কাহিনী বেরোচ্ছে। এক পরীমনির কাহিনী দিয়ে হাজার খদ্দের চুপ। পত্র-পত্রিকাও লাফাচ্ছে, সরকার কিছু বলছে না। আদালতও ধমকাচ্ছে- কেন রিমান্ড দিচ্ছেন কেন? এক পরীমনি।

‘এক পরীমনির মধ্যে তো পরীমনি সীমাবদ্ধ না- এই বাজারটা তো ছোট না। এই বাজারের খরিদদ্বার সব শেখ হাসিনার আশে-পাশে। সেই কারণে বেশিক্ষণ পরীমনিকে নিয়ে মজা করা সরকারের সম্ভব হইব না।’

জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে সার্বভৌমত্ব রক্ষা পরিষদের উদ্যোগে ‘সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষা’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা হয়।

বার্তা বাজার/এসবি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর