তদন্তে গিয়ে বাদীর স্ত্রীর সাথে পুলিশ কর্মকর্তার গভীর প্রেম

২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে হুমকি থেকে প্রতিকারের আশায় উত্তরা পূর্ব থানায় একটি মামলা দায়ের করেন সাদিক হাসান সৈকত ও লিজা পারভীন দম্পতি। মামলাটির তদন্তভার ন্যস্ত হয় থানার এসআই মো. ফরহাদের ওপর।

কিন্তু একসময় সৈকত বুঝতে পারেন মামলার সংক্রান্ত প্রয়োজন ছাড়াও স্ত্রী লিজার সাথে বাড়তি যোগাযোগ করছেন ফরহাদ। চলতি বছরের আগস্টে স্বামীকে না জানিয়েই দ্বিতীয় সন্তানকে কোলে করে বাসা ত্যাগ করেন লিজা। এরপর এসআই ফরহাদ তাদের দাম্পত্য জীবনে কলহ সৃষ্টি করছেন মর্মে গাজীপুর পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন সৈকত।

তিনি বলেন, আমাদের সংসারে কোনো ঝামেলা নাই। দুই বাচ্চার মা আমার স্ত্রী। কিন্তু আমাদের মধ্যে যেন দ্বন্দ্ব তৈরি হয় এজন্য যেসব কথা বলা দরকার তার সবই বলেছেন এসআই ফরহাদ।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশ কর্মকর্তা ফরহাদ জানান, এসব কথা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। তারা আমার মামলার বাদী ছিল। হয়তো মামলা সংক্রান্ত কোনো কথা বলার সময় আমার নাম্বার পেতে পারে।

অভিযুক্ত এসআই ফরহাদ বর্তমানে ফরিদপুরে কর্মরত থাকায় বিষয়টি ফরিদপুরের পুলিশ সুপার দেখবেন বলে জানিয়েছেন গাজীপুরের পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ। এজন্য সেখানে অভিযোগ জানানোর পরামর্শ দেন তিনি।

এদিকে এসআই ফরহাদের স্ত্রী সালমা আক্তার তার স্বামীর বিরুদ্ধে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি বলেন, আমাকে যে নির্যাতন করেছে তা আমি যেখানে থাকতাম সেখানের সবাই জানে। এএসপি আমাকে ডেকেছিল। আমি যাবো উনার কাছে।

বার্তা বাজার/এসজে

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর