যুবলীগ নেতা ও বিজিবি সদস্যের দখলে সরকারি স্কুলের জমি

পাঠদান চলে দোকানের ছাঁদে

বিদ্যালয়ের জমি ক্ষমতা খাটিয়ে দখলে নিয়েছেন স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল। জমি বেদখল থাকায় বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ করার সম্ভব হচ্ছে না। উপায়ন্তর না পেয়ে দোকানের ছাঁদে চরছে পাঠদান কার্যক্রম। ফলে বিপাকে পড়েছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

এমন ঘটনা ঘটেছে পটুয়াখালীর বাউফলে সূর্যমণি ইউনিয়নে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রায় ১ বছর আগে ইউনিয়নের পূর্ব ইন্দ্রকুল চৌমুহনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবন ভেঙে নতুন ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। নিলাম প্রক্রিয়া শেষে পুরাতন ভবন অপসারণ করে নতুন ভবন নির্মণের প্রক্রিয়া শুরু করলে স্থানীয় যুবলীগ নেতা জাকির মৃধা ও বিজিবি সদস্য মনির হোসেনসহ একাধিক প্রভাবশালী বিদ্যালয়ের জমি দখল করে নেয়।

এরপর দীর্ঘদিন খোলা আকাশের নীচে পড়ে থাকে বিদ্যালয়ের বে ও চেয়ারসহ অন্যান্য আসবাবপত্র। করোনা মহামারীর কারনে টানা দেড় বছর বন্ধ থাকার পর গত ১২ সেপ্টেম্বর সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণা দেয়ার পর বিপাকে পড়েন ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

এরপর সূর্যমণি ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বাচ্চুর মালিকানাধীন একটি দোকানের ছাদে জরুরী ভিত্তিতে ক্ষুদ্র মেরামতের বরাদ্দকৃত অর্থ দিয়ে টিনশেড শ্রেনী কক্ষ নির্মাণ করে দেয়া হয়।

বর্তমানে ওই ছাদেই চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। সূর্যমণি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বাচ্চু বলেন, বিদ্যালয়ের জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব তৈরি হওয়ায় বিপাকে পড়েন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। অবশেষে দোকানের জন্য তৈরি ষ্টল বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাঠদনের জন্য দিয়েছি।

প্রধান শিক্ষক সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, বিদ্যালয়ের জমি বেদখল হওয়ার পর কোন উপায় না পেয়ে দোকানের ছাদেই পাঠদান শুরু করতে হয়েছে। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সুলতান হাওলাদার বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরেজমিন বিদ্যালয়ের জমি চিহ্নিত করে লাল নিশান দিয়ে গেছেন।

কিন্তু ওই লাল নিশান বিজিবির সদস্য মনির উপড়ে ফেলে দিয়েছেন। বিজিব সদস্য মনির বলেন, আমি আমার কবলাকৃত ও পৈত্রিক সম্পত্তিতে বসবাস করছি। এখানে বিদ্যালয়ের কোন জমি নেই। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রিয়াজুল হক বলেন, বিদ্যালয়ের জমি দখল মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত দোকানের ছাঁদেই পাঠদান করাতে হবে।

এম.এ হান্নান/বার্তা বাজার/টি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর