ঢামেক: বাতি না থাকায় মোবাইলের আলোতে রোগীকে ক্যানোলা

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) পুরাতন ভবনের দ্বিতীয় তলার ঢাল সিঁড়িতে বাতির ব্যবস্থা নেই। সেখানে তাহকা রোগীরা অন্ধকারের সাথেই নিজেদের মানিয়ে নিচ্ছেন। আর নার্সরাও ব্যতিক্রম না। বাধ্য হয়ে মোবাইলের লাইট জ্বালিয়ে রোগীর হাতে দিচ্ছেন ক্যানোলা।

রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে এগারোটার দিকে হাসপাতালের পুরাতন ভবনের দ্বিতীয় তলার ঢালে এই দৃশ্য দেখা যায়।

ফরিদপুর থেকে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হ্যে চিকিৎসা নিতে আসা বৃদ্ধ সামাদ মণ্ডল নিউরোসার্জারি ২০০ নং ওয়ার্ডের অধীনে ভর্তি হন। সেখানে রোগীর চাপ বেশী থাকায় সিঁড়ির ঢালেই অন্য রোগীদের সাথে তিনি অবস্থান নেন।

তার ছেলে সুমন মন্ডল জানান, আসার পর থেকেই ঢাল সিঁড়ির উপরে দুটি বাতি নষ্ট দেখতে পাই। এই কারণে রাতে জায়গাটি অন্ধকার থাকে। তাই আজ রাতে নার্সরা মোবাইলের লাইট জ্বালিয়ে স্যালাইন দেওয়ার জন্য তার বাবার ক্যানোলা করে দিয়েছে। তবে ওই দুই নার্সকে ধন্যবাদ জানিয়ে, তিনি বলেন অনেক কষ্ট করে নিচে বসে তারা ক্যানোলা করেছেন।

২০০ নং ওয়ার্ড থেকে রোগীর ভর্তি ফাইলে চিকিৎসকের নির্দেশে নার্স রাজিয়া আরও এক নার্সকে নিয়ে মোবাইলের লাইট জ্বালিয়ে অনেকক্ষণ চেষ্টার পরে সালাম মণ্ডলের স্যালাইন দেওয়ার জন্য ক্যানোলা করেন।

নার্স রাজিয়া জানান, আশেপাশে বাতি থাকলেও ঢাল সিড়ির একাংশের উপরে বাতি নষ্ট থাকার কারনে,মোবাইলের লাইট জ্বালিয়ে রোগীর ক্যানোলা করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে জরুরি বিভাগের ওয়ার্ড মাস্টার আবুল হোসেন ও জিল্লুর রহমানের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তারা অবাক হয়ে বলেন, তাই নাকি। তাহলে আগামীকাল বাতি লাগিয়ে দিবো।

ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সংশ্লিষ্টদের দ্রুত সেখানে বাতি লাগানোর জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।

বার্তা বাজার/এসজে

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর