স্বেচ্ছাসেবক দলের সভায় বক্তব্য দিলেন আ’লীগের কাউন্সিলর!

ঢাকার ধামরাইয়ে বিএনপির সংগঠন স্বেচ্ছাসেবকদলের এক সভায় সাভার পৌর আওয়ামী লীগ নেতা ও ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রমজান আহমেদ বক্তব্য দিয়েছেন। এ বক্তব্যের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পরে কাউন্সিলরের সমালোচনায় মুখর হয়েছেন খোদ নিজ দলের নেতাকর্মীরাই।

প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, ধামরাইয়ের কুল্লা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভপতি সাইদুর রহমান একটি সভায় বক্তব্য রাখছেন। তার পাশেই টুপি মাথায় ও সাদা পাঞ্জাবি গায়ে দাঁড়িয়ে আছেন সাভার পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রমজান আহমেদ। অপর একটি ভিডিওতে দেখা যায় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার পাশে দাঁড়িয়ে হাত নাড়িয় বক্তব্য দিচ্ছেন তিনি।

জানা যায়, গত ১৯ আগস্ট সাইদুর রহমান কুল্লা ইউনিয়নে একটি আবাসন প্রকল্পের বিরুদ্ধে থানায় মামলা, ডিসি ও এসিল্যান্ড অফিস ফাইল খরচা বাবদ টাকা চাওয়ার একটি বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। একইস্থানে গত ১০ সেপ্টেম্বর বিকালে আরেকটি সভার আয়োজন করেন তিনি। তবে ওই নির্দেশ অমান্য করেই সভার আয়োজন করা হয়।

সেখানে সাভার থেকে কর্মী নিয়ে সভায় যোগ দেন কাউন্সিল রমজান আহমেদ। ধামরাই থানা পুলিশ এসে সভা পণ্ড করলে প্রকল্প থেকে বেরিয়ে মসজিদের পাশে দাঁড়িয়ে আবারো বক্তব্য শুরু করে বিএনপি নেতা ও কাউন্সিলর রমজান আহমেদ। সেখানেই ধারণ করা ভিডিওর পাশাপাশি বিএনপি নেতা ও কাউন্সিলরের চিত্র উঠে আসে। পরে অবশ্য সেখানেও গিয়ে বিএনপি নেতাদের ধাওয়া করে পুলিশ সভা পণ্ড করে দেয়।

এ বিষয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, হাইব্রিড লোকজন যারা কোনদিন আওয়ামী লীগ করেনি তাদের এভাবে দলে এনে জনপ্রতিনিধি বানিয়ে দিলে ধীরে ধীরে তাদের আসল চরিত্র বেরিয়ে আসে। সুযোগ পেলেই দলের সঙ্গে তারা এমন বেইমানি করে। দলকে ব্যবহার করে তারা সবসময় নিজের স্বার্থ উদ্ধার করেছে কিন্তু দলের উপকার হয় এমন কোনো কাজ কোনদিনই তারা করেননি।

তবে রমজান আহমেদ জানান, আমি কোনো প্রোগ্রামে যায়নি। আমার ওখানে কিছু জমি আছে তো সেই জমির ওখানে গেছিলাম।

ধামরাই থানার এসআই আব্দুস সালাম জানান, আবাসন প্রকল্পটিতে বিচারাধীন একটি বিষয় নিয়ে তারা একটি সভা করতে চেয়েছিল। কিন্তু ওই সভা করা হলে প্রকল্পের সঙ্গে আয়োজকদের সংঘর্ষ হতে পারে এই শঙ্কায় ও করোনা ভাইরাস রোধে জনসমাগম না করতে তাদের বলে দেওয়া হয়েছিল। তবে তারা নির্দেশ অমান্য করেই সেখানে বক্তব্য দেয়। আমরা তাতে বাধা দেয়নি। এরপরে তারা ওই প্রকল্পে ঢুকে জনসভা করতে গেলে আমরা তা বন্ধ করে দিই।

সাভার পৌরসভার মেয়র আব্দুল গণি বলেন, রমজান আলী আমাদের পোস্টেড কোনো নেতা না। সদস্য শুধু। স্বেচ্ছাসেবক দলের সঙ্গে বক্তব্যের বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি তাকে জিজ্ঞেস করবো বিষয়টা নিয়ে।

এ ব্যাপারে ঢাকা-২০ সংসদীয় আসনের এমপি বেনজির আহমেদ জানান, এভাবে প্রকাশ্যে চাঁদা চাওয়ার সভা করা অপরাধ। তাদের প্রতিহত করতে প্রশাসনের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এই চাঁদার টাকা দেশবিরোধী কাজে ব্যবহৃত হতে পারে। এদের অচিরেই থামাতে হবে।

বার্তা বাজার/এসজে

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর