নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করা সরকারের অগ্রাধিকার: খাদ্যমন্ত্রী

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, সকলের জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করা বর্তমান সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার। আগামী এক দশকে বাংলাদেশের খাদ্য পরিকল্পনাকে বিবেচনায় নিয়ে ন্যাশনাল পাথওয়ে ডকুমেন্ট (পথ নির্দেশকা) তৈরি করা হয়েছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জন ও অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে ক্ষুধামুক্ত দেশ গড়ার চালিকাশক্তি হবে এই পাথওয়ে ডকুমেন্ট।

রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় তথ্য ভবন অডিটোরিয়ামে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে “জাতিসংঘ ফুড সিস্টেম সামিট ২০২১ এ বাংলাদেশের অংশগ্রহণ বিষয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের অবহিতকরণ” কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

উল্লেখ্য, ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনের জন্য ফুড সিস্টেম ট্রান্সফরমেশনের বিভিন্ন স্তরকে নির্ধারণ করার জন্য রোমভিত্তিক সংস্থাগুলোর সহযোগিতায় আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর ফুড সিস্টেম সামিট আহ্বান করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব। ফুড সিস্টেম সামিট ২০২১ এ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের পাথওয়ে ডকুমেন্ট উপস্থাপন করবেন।

মন্ত্রী জনসচেতনতা তৈরিতে গণমাধ্যমের ভূমিকা সর্বজন স্বীকৃত উল্লেখ করে বলেন, জনগণকে পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্যগ্রহণ সম্পর্কেও সচেতন করতে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তিনি বলেন, আমরা যদি মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে না পারি তাহলে লক্ষ্য অর্জনে পিছিয়ে থাকব। টেকসই সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে হলে জনসচেতনতা তৈরি করতে হবে। এক্ষেত্রে গণমাধ্যমকর্মীরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারেন।

মন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের পর একটা সময় মানুষকে এক বেলা ভাত খেয়ে জীবন নির্বাহ করতে হয়েছে। সেই বাংলাদেশের মানুষ এখন না খেয়ে থাকে না। খাদ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে আমাদের সবদিকেই উন্নতি হয়েছে। এবার আমাদের পুষ্টি নিরাপত্তার দিকে নজর দিতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মকবুল হোসেন পিএএ বলেন, খাদ্য পাওয়ার অধিকার নাগরিকের সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার। রাষ্ট্র প্রয়োজনমাফিক নাগরিকের খাদ্য নিশ্চিত করবে। ফুড সাপ্লাই চেইন ঠিক রেখে তাদের জন্য পুষ্টিকর খাবার পৌছে দেয়া বেশ চ্যালেঞ্জিং উল্লেখ করে তিনি এ বিষয়ে জনসাধারণকে এডুকেটেড ও মোটিভেট করতে গণমাধ্যমকর্মীদের ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ডক্টর মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে জাতিসংঘ খাদ্য ও কৃষি সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট ডি সিম্পসন এবং গেইনের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. রুদাবা খন্দকার, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (এফপিএমইউ) মোঃ শহীদুজ্জামান ফারুকী বক্তৃতা করেন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।

বার্তা বাজার/এসবি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর