ইংল্যান্ড হারলেও পাকিস্তান বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাবে না

ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়ালস বিশ্বকাপ এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। লিগের খেলা প্রায় শেষ এবং অস্ট্রেলিয়া ও ভারত ইতিমধ্যেই সেমি-ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে। অস্ট্রেলিয়া আগেই পৌঁছে গিয়েছিল সাতটির মধ্যে ছ’টি ম্যাচ জিতে আর বিরাট কোহলির দল মঙ্গলবার এজবাস্টনে লড়াকু বাংলাদেশকে ২৮ রানে হারিয়ে চলে যায় শেষ চারে।

এবারে সেমি-ফাইনালের বাকি দু’টি জায়গার জন্যে লড়াই তুঙ্গে। আর শেষ দু’টি সেমি-ফাইনালিস্ট কে হবে তা অনেকটাই নির্ধারিত হবে আজকের চেস্টার-লে-স্ট্রিটে হতে চলা ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড ম্যাচের ফলের দ্বারা। খাতায় কলমে এখনও সেমি-ফাইনালের দৌড়ে রয়েছে ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তান ছাড়াও শ্রীলঙ্কাও।

প্রথমে আসা যাক ইংল্যান্ডের কথায়। ১৯৯২ সালের পরে এই প্রথম হাতছানি ইংরেজদের সামনে বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে ওঠার। আর ভারতকে গত ম্যাচে ৩১ রানে হারিয়ে আয়ন মর্গ্যানের দল যে চাঙ্গা হয়েই মাঠে নামবে কেন উইলিয়ামসনদের বিরুদ্ধে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ইংল্যান্ডের এই মুহূর্তে পয়েন্ট সংখ্যা আটটি খেলে ১০ এবং স্রেফ একটি জয় পেলেই তারা ১২ পয়েন্ট নিয়ে চলে যাবে শেষ চারে। ইংল্যান্ডের নেট রান রেট ১ যা অনেকের তুলনাতেই যথেষ্ট ভালো।

যদি নিউজিল্যান্ড ইংল্যান্ডকে হারায়, তাহলে তারা ন’টি ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে সেমি-ফাইনালে চলে যাবে আর ইংল্যান্ডকে তাকিয়ে থাকতে হবে ৫ তারিখে লর্ডসে হতে চলা পাকিস্তান-বাংলাদেশ ম্যাচের দিকে। যদি পাকিস্তান জিতে যায় তো ইংল্যান্ডের বিদায় কারণ সেক্ষেত্রে ন’টি ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে সরফরাজ আহমেদের দল টপকে যাবে মর্গ্যানদের। আর যদি বাংলাদেশ জিতে যায় ওই ম্যাচটি, তাহলে ১০ পয়েন্ট নিয়ে ইংল্যান্ডই চতুর্থ স্থানে শেষ করে সেমি-ফাইনালে খেলবে।

ইংল্যান্ড নিউজিল্যান্ডকে হারালে পাকিস্তানের ভাগ্য নির্ভর করবে নেট রানরেটের উপরে।এ ক্ষেত্রে পাকিস্তান অবশ্যই চাইবে কিউইরা ইংল্যান্ডকে হারাক যাতে তাদের আশা জিইয়ে থাকে। তবে, ইংল্যান্ড নিউজিল্যান্ডকে হারালেও যে পাকিস্তানের আশা নির্মূল হয়ে যাবে, তা নয়। নিউজিল্যান্ড হারলে তাদের হবে নয় ম্যাচে ১১ পয়েন্ট। আর পাকিস্তান যদি বাংলাদেশকে হারায়, তাহলে তাদেরও হবে নয় ম্যাচে ১১ পয়েন্ট। সেক্ষেত্রে চতুর্থ স্থানের জন্যে (অস্ট্রেলিয়া, ভারত এবং ইংল্যান্ড প্রথম তিনটি স্থানে) নিউজিল্যান্ড এবং পাকিস্তানের লড়াই দাঁড়াবে এসে নেট রান রেটের উপরে। পাকিস্তানের পক্ষে এই লড়াই জেতা বেশি কঠিন কারণ তাদের নেট রান রেট -০.৭৯২। নিউজিল্যান্ডের নেট রান রেট সেখানে +০.৫৭২। অর্থাৎ শুধুমাত্র নিউজিল্যান্ডকে ইংল্যান্ডের কাছে বড় ব্যবধানে হারলেই হবে না, পাকিস্তানকেও বাংলাদেশকে বিরাট ব্যবধানে জিততে হবে যাতে তারা নিউজিল্যান্ডের নেট রান রেট টপকে গিয়ে সেমি-ফাইনালের ছাড়পত্র পেতে পারে।

অন্যদিকে, আট ম্যাচে আট পয়েন্ট নিয়ে শ্রীলঙ্কার সেমি-ফাইনালের আশাও কাগজে কলমে বেঁচে রয়েছে। তবে সেই প্রায় অসাধ্যসাধন করতে দিমুথ করুণারত্নের দলকে অন্যান্য দলের ফলের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে। প্রথমত, ইংল্যান্ডকে হারতে হবে নিউজিল্যান্ডের কাছে যাতে তারা ১০ পয়েন্টের বেশি না পেতে পারে। দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশকে পাকিস্তানকে হারাতে হবে যাতে তারাও ১০ পয়েন্ট ছাড়াতে না পারে। এবং তৃতীয়ত, শ্রীলঙ্কাকে তাদের শেষ ম্যাচে ভারতকে একপেশে ভাবে হারাতে হবে যাতে তারা ১০ পয়েন্টে পৌঁছয় এবং নেট রানরেটে ইংল্যান্ডকে টপকে যায়। শ্রীলঙ্কার নেট রানরেট এখন -০.৯৩৪। যদিও বাস্তবে এই সম্ভাবনার সাফল্যের সম্ভাবনা খুবই কম।

বার্তাবাজার/এএস

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর