সব বিশ্ববিদ্যালয়ে গোয়েন্দা নজরদারি
করোনার কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর খুলে দেওয়া হচ্ছে দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। এর আগে ২৭ আগস্ট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া হলে নেক অস্থিরতা সৃষ্টি হতে পারে।
তিনি দক্ষিণ এশিয়ার একটি দেশের ক্ষমতার পরিবর্তনের বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার একটি দেশে ক্ষমতার পরিবর্তনের পর একটি গোষ্ঠী উচ্ছ্বসিত। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি দেশে ক্ষমতার পরিবর্তনের পর এখানে যারা উল্লসিত তাদের মতলব কী, উদ্দেশ্য কী- তা বুঝতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার প্রস্তুতির সঙ্গে সঙ্গে তারা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছে। ষড়যন্ত্রের প্রস্তুতি নিচ্ছে, শেখ হাসিনার সরকার হটানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এরপর বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পরেও নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে গত ২ সেপ্টেম্বর নিরাপত্তা বিষয়ক জাতীয় কমিটির বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্তের উদ্ধৃতির দিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ৯ সেপ্টেম্বর ইউজিসিকে একটি চিঠি দেন। চিঠিতে সকল বিশ্ববিদ্যালয়কে গোয়েন্দা নজরদারীতে আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোনোরূপ অরাজকতা যেন না হয় সেজন্য কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়।
চিঠি পেয়ে ১৬ সেপ্টেম্বর দেশের সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করেছে ইউজিসি।
বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত মোতাবেক দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে বিশেষ নজরদারী বাড়ানো হবে। পাশাপাশি কোনো নৈরাজ্য ও জঙ্গিবাদের প্রচার হওয়ার আশঙ্কা বিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থার সাথে নিয়মিত যোগাযোগ থাকবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের।
বৈঠকের বিষয়ে শাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন গণমাধ্যমকে জানান, বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর কী ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া যেতে পারে, সে বিষয়ে ইউজিসির সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়েছে। আমাদের নিজেদেরও নানা ধরনের পরিকল্পনা রয়েছে। সেসব বাস্তবায়নে কাজ করা হচ্ছে।
বার্তা বাজার/এসজে