১৪ বছর ধরে আ’লীগের নাম বিক্রি করছে মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগ!

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মুক্তিযুদ্ধের নামে দল খুলতে কোনো অনুমতির প্রয়োজন নেই বলে দাবি করেছেন আওয়ামী মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম লীগের নেতা কর্মীরা। এজন্য বিগত ১২ বছরে মূল দলের কোনোরকম অনুমতি ছাড়াই চালাচ্ছেন দলের কার্যক্রম। এমনকি নেতারা নিজেই জানেননা সংগঠনের প্রতিষ্ঠার তারিখ।

শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে এমনই এক সংগঠনের কর্মসুচি পণ্ড করে দেয় পুলিশ।

জানা যায়, শনিবার মূল দলের সম্পাদক মন্ডলীর অনুষ্ঠান রয়েছে জেনেও নিজেদের অনুষ্ঠান চালানোর ঘোষণা দেন প্রজন্ম লীগের নেতৃবৃন্দ। বিভিন্ন পক্ষের প্রশ্রয়ে তারা এমন দুঃসাহস দেখাচ্ছে বলে বেশ সূত্র জানায়।

এ ব্যাপারে প্রজন্ম লীগের এক নেতা গণমাধ্যমকে বলেন, অনুমতি কে দিল বা না দিল সেটা কথা নয়। আমরা শেখ হাসিনার সৈনিক। তার হাতকে শক্তিশালী করতে আমরা যা করার প্রয়োজন মনে করি তাই করবো। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় কারও অনুমতির প্রয়োজন হয়নি।

তবে পুলিশের বাঁধার মুখে তারা যখন সরে যেতে বাধ্য হয় তখন তাদের কন্ঠ উচ্চ কোথায় যেন মিইয়ে যায়। তারা গণমাধ্যম কর্মীদের এড়িয়ে যেতে যেতে বলেন, পুলিশ সরে যেতে অনুরোধ করেছে তাই চলে যাচ্ছি।

বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে গিয়ে দেখা যায়, অনুষ্ঠান সফল করতে ট্রাক ভর্তি করে লোক নিয়ে আসছে প্রজন্মলীগের নেতাকর্মীরা। ট্রাকে আসা শিশু থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের কর্মীরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগের নামটাই ভালো করে উচ্চারণ করতে পারেননি। কার সাথে এসেছে তাও নির্দিষ্ট করে জানাতে পারেনি শিশুরা। সংগঠনের বৈধতার বিষয়ে প্রশ্ন করে কোনো সূদুত্তর মিলেনি।

সংগঠন নিয়ে বড় বড় বাক্য বিনিময় করলেও পুলিশ একবার তাদেরকে জোর গলায় সরে যেতে বলার সাথে সাথেই মৃয়মান বদনে সভাস্থল ত্যাগ করে তারা।

এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার আব্দুল আহাদ জানান, যেহেতু তারা দাবি করেছে আওয়ামী লীগেরই সংগঠন তারা, তাই মূল দলের অনুমতিরও প্রয়োজন রয়েছে। এমন কিছু তারা করেনি, করলে অব্যশই পুলিশ জানতো।

ভুঁইফোর এমন সংগঠনের ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ হয়েছে সম্পাদক মণ্ডলীর বৈঠকেও। এসব সংগঠনের কোনো অনুমোদন নেই বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মের ব্যাপারে আমাদের কোনো দ্বিমত নেই। কিন্তু লীগ আর আওয়ামী যখন এটার সাথে আমাদের সংশ্লিষ্টতা এসে যায়। আমাদের ভাবমূর্তির সাথে বিষয়টি জড়িয়ে যায়। কারণ এসব সংগঠন অনেকে খুলে থাকে চাঁদাবাজির জন্য।

বার্তা বাজার/এসজে

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর