মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসী ধরপাকড় অব্যাহত, খুলছে কর্মক্ষেত্র

মালয়েশিয়ায় করোনা মহামারীর লকডাউনেও অবৈধ অভিবাসী বিরোধী অভিযান অব্যাহত রেখেছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ। তাছাড়া দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে পুরোপুরি বন্ধ থাকা বিভিন্ন কাজের সাইটগুলো যেখানে প্রবাসীরা কর্মরত ছিলেন সেই কর্মক্ষেত্র গুলো খুলে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকার।

এতে করে প্রবাসী কমিউনিটি শিবিরে স্বস্তি ফিরে এসেছে। বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে এই ঘোষণা দেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল সাবরী ইয়াকুব।

এদিকে মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগের যৌথ অভিযানে বাংলাদেশী সহ বিভিন্ন দেশের ১২ জন অভিবাসী শ্রমিক কে আটক করা হয়েছে এবং অপর অভিযানে ৭ অভিবাসী কে ভিসার অপব্যবহার এর কারণে গ্রেফতার করা হয়েছে। দেশটির প্রিমিস সেক্টর প্রেসিডেন্ট ৯ এবং ১০ নং এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে ১২ জন অভিবাসী কে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে কতজন বাংলাদেশী কে আটক করা হয়েছে তা জানা যায়নি।

আটককৃতরা হলেন, বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া ও মিয়ানমারের নাগরিক। অভিবাসন বিভাগ বলছে তাদের কাছে দেশটিতে বৈধভাবে অবস্থান করার পারমিট ছিল না। তাই তাদের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ার জাতীয় অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩ এর ধারা লঙ্ঘনের দায়ে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।

তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করার পর এখন দেশটির সেমেনিয়াহ ইমিগ্রেশন ডিটেনশন সেন্টারে রাখা হয়েছে। তাছাড়া আজ বৃহস্পতিবার ৭ জন ফিলিপাইন ও ইন্দোনেশিয়া নারী ও পুরুষ শ্রমিককে কুয়ালালামপুর ম্যাজিষ্ট্যাট আদালতে হাজির করা হয়েছে।

তাদের অপরাধ শাহআলম নামক এলাকার একটি টেক্সটাইল ফ্যাক্টরিতে ভিসা ও পারমিটের অপব্যবহার করে চাকুরী করে আসছিলো। পরে আদালত তাদের প্রত্যেককে আলাদা আলাদা করে ৩ হাজার থেকে ৬ হাজার রিংগিত জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এখন দেশটিতে ঝিমিয়ে পড়া অর্থনীতি পূণরুদ্ধার করতে সরকার ফেজ-১, ২ ও ৩ নামে একটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। ধীরেধীরে এই ধাপ গুলো বাস্তবায়ন করে দেশের অর্থনীতি চাঙা করার ঘোষণা দিয়েছেন নবগঠিত সরকার।

প্রধানমন্ত্রী তার ঘোষণায় বলছেন, আগামীকাল শুক্রবার থেকে ব্যাপকহারে অর্থনীতি সংশ্লিষ্ট সব সেক্টর গুলো খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

এগুলোর মধ্যে রয়েছে এতদিন ধরে বন্ধ থাকা সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, স্থানীয় বিভিন্ন বানিজ্যিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, নির্মাণ সেক্টর, কল-কারখানা, পর্যটন স্পট, বিনোদন কেন্দ্র, দোকান পাঠ সহ গুরত্বপূর্ণ স্থাপনা। তবে এসব অর্থনৈতিক খাতগুলো পরিচালনা করবেন যারা ইতিমধ্যে ডাবল ডোজ টিকা নিয়ে ১৪ দিন কোয়ারান্টাইন পার করেছেন। এই অবস্থায় প্রবাসীদের মাঝে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে আসতে শুরু করেছে যারা লকডাউনে কাজ কর্ম হারিয়ে উদ্বেগ উৎকন্ঠায় ছিলেন।

আশরাফ মামুন/বার্তা বাজার/এসজে

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর