জীবিত থেকেও ভোটার তালিকায় মৃত রেহেনা খাতুন

রেহেনা খাতুন। জন্ম ১লা জুলাই ১৯৭৯। বয়স ৪৩ বছর। কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন নিবন্ধন করার সময় বার বার চেষ্টা করেও ব্যার্থ হন তিনি। এরআগে ভোট দিতে গিয়ে ভোটার লিস্টে নাম খুঁজে পাননি তিনি। নির্বাচন অফিসে খোঁজ নিয়ে জেনেছেন কাগজে–কলমে তিনি এখন মৃত। তথ্য সংগ্রকারী ও ডাটা এন্ট্রির সময় কম্পিউটার অপারেটরের ভুলে এ সমস্যা হতে পারে। মুঠোফোনে এমনটা জানিয়েছেন জয়পুরহাট সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জেবুন্নেছা শাম্মী।

নির্বাচন কমিশনের ‘গাফিলতিতে’ বেঁচে থেকেও সরকারি নথিতে এখন মৃতের তালিকায় এই নারী। জীবিত থেকেও মৃত ভোটারের তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তি হওয়ায় ভোট দেওয়া থেকে শুরু করে সব ধরনের নাগরিক সুযোগ-সুবিধা পাওয়া থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন তিনি।

জীবিত থেকেও ভোটার তালিকায় মৃত রেহেনা খাতুনের বাড়ি জয়পুরহাট সদর উপজেলার বম্বু ইউনিয়নের হানাইল উত্তরপাড়া গ্রামে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে রেহেনা খাতুন বলেন, ‘কীভাবে আমি মারা গেলাম বুঝতে পারছি না। তবে আমি সরকারী কোন সুযোগ সুবিধা পাচ্ছি না। করোনার টিকা নিবো কিন্তু সেটিও সম্ভব হচ্ছে না। আমি জীবিত হতে চাই’

জাতীয় পরিচয় পত্র থেকে জানাযায়, রেহেনা খাতুন ১লা জুলাই ১৯৭৯ সালে জন্মগ্রহন করেন। তার স্বামী মোহাম্মদ লুৎফর রহমান। মাতা রেজিয়া খাতুন। আইডি নাম্বার ৩৮১৪৭১৯২১৯২১০। তার বর্তমান বয়স ৪৩ বছর।

এবিষয়ে জয়পুরহাট সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জেবুন্নেছা শাম্মী জানান, ‘বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় তথ্য সংগ্রহকারী ও ডাটা এন্ট্রির সময় কম্পিউটার অপারেটরের ভুলে সমস্যাটি তৈরি হতে পারে। ভুক্তভোগীরা আবেদন করলে দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

রিফাত আমিন রিয়ন/বার্তা বাজার/অমি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর