যমুনা সারকারখানার খন্ডকালিন ৬১ শ্রমিক বাতিলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ

জামালপুরের সরিষাবাড়ীর তারাকান্দিতে অবস্থিত দেশের সর্ববৃহৎ ইউরিয়া উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান যমুনা সার কারখানার (জেএফসিএল) খন্ডকালিন ৬১ শ্রমিক বাতিলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন কর্মসূচি করেছে শ্রমিকরা।

মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে কারখানা এলাকা চত্ত্বরে এ কর্মসৃচি করেন ভুক্তভোগি ও অন্য শ্রমিকরা। এসময় কারখানা চত্তরে পুলিশ ও র‌্যাব এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে। পরে সরিষাবাড়ী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর রকিবুল হক ও ঠিকাদার কাউন্সিলর সাখাওয়াত আলম মুকুল কারখানা কতৃপক্ষের সাথে ২৪ ঘন্টার মধ্যে বিষয়টি নিয়ে মিমাংশার লক্ষে কথা বলবেন বলে তাদের আশস্ত করলে শ্রমিকেরা ২৪ ঘন্টার জন্য সকল কর্মসূচি তুলে নেন।

ছবি: বার্তা বাজার।

ভুক্তভোগী শ্রমিক, কারখানা ও ঠিকাদার সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে কারখানার দৈনিক মুজুরি ভিত্তিতে চুক্তি ভিত্তিক ৪২৫ জন এবং খন্ডকালিন ৬১জন শ্রমিক কাজ করে আসছিল। কিন্তু গত ২৯-০৮-২১ তারিখে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স জান্নাত এন্টারপ্রাইজ কে, কারখানার মহাব্যবস্থাপক প্রশাসন মোহাম্মদ মঈনুল হক এর সাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয় বিশেষ অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা কতৃক আপত্তি উথ্যাপিত হওয়ায় সম্পাদিত চুক্তি নামার ৮, ৯, ১০, ১৬ ও ৩২ নং শর্ত এবং দরপত্র বিজ্ঞপ্তির ১৭, ১৮, ১৯, ২৫ ও ৪১ নং শর্তে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ এবং (কাজ নাই মজুরি নাই ভিত্তিতে) চুক্তিবদ্ধ ৪২৫ জন এর অতিরিক্ত কোন দৈনিক ভিত্তিক শ্রমিকের মজুরি প্রদানের আবেদন না করার জন্য অবহিত করা হয়। এবং খন্ডকালিন ৬১ জনকে বাদ দিয়ে একটি তালিকা প্রকাশ করে কারখানা কতৃপক্ষ। তারপর থেকেই ঠিকাদার কারখানা কতৃপক্ষের সাথে সমঝোতার চেষ্টা করা কালীন সময়ে বিষয়টি শ্রমিকদের মাঝে প্রকাশ পেলে তারা এ বিক্ষোভ করেন।

এ বিষয়ে ঠিকাদার কাউন্সিলর সাখাওয়াত আলম মুকুল বলেন, কারখানা কর্তৃপক্ষ আমার সাথে কোন আলোচনা না করেই ৬১ জন খন্ডকালিন শ্রমিক বাদ দিয়ে দেয়। এতে কারখানায় বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্বে নিয়োজিত শ্রমিকদের প্রতি অমানবিক আচরণ করা হয়েছে। আমি এ সিদ্ধান্তকে দ্রুত বাতিলের দাবী জানাই।

এ বিষয়ে কারখানার মহাব্যবস্থাপক প্রশাসন মোহাম্মদ মঈনুল হক বলেন, দৈনিক মজুরি ভিত্তিক শ্রমিক রয়েছে ৪৮৬ জন এর মধ্যে আমাদের অনুমোদন আছে ৪২৫ জন, অনুমোদনের বাইরে ৬১ জন বেশি আর এই বেশিটা আমরা বাদ দিয়ে দিয়েছি। অনুমোদন যেটা আছে তার বাইরে আমরা যেতে পারবো না।

অনুমতিহীন হয়ে এতোদিন কিভাবে তারা চাকরি করলো প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আগের ম্যানেজমেন্ট কি করেছে বা কি ভাবে করছে সেটা আমার জানা দরকার নাই। আমাদের এখন ইনস্টাকশন আছে কোন ভাবেই ৪২৫ জনের বাইরে আমরা প্রেমেন্ট করতে পারবো না।

মোস্তাক আহমেদ মনির/বার্তা বাজার/অমি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর