মালয়েশিয়া প্রবাসীরা স্বাভাবিক কর্মজীবনে ফিরছেন

করোনা সামাল দিতে পহেলা জুন থেকেই দেশটিতে চলছে টানা মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার (এমসিও) লকডাউন। প্রবাসীদের জনজীবনে স্থবিরতা নেমে এসেছে। মালয়েশিয়ার ইতিহাসে ২২ বছর পর এই প্রথম অর্থনীতি ও জিডিপি সর্বনিম্নে পৌঁছেছে।

দেশটিতে কম বেশি প্রায় ১২ লাখ বাংলাদেশী প্রবাসী রয়েছে। তারা এখানে ব্যবসা বাণিজ্য, শিক্ষা সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন অর্থনৈতিক সেক্টরে কর্মরত রয়েছেন। এই টানা লকডাউনে তারা গণহারে কাজ হারিয়ে এক প্রকার মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তবে লকডাউন শিথিলের ঘোষণা শিথিলের পর তাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

তারা তাদের পূর্বের কর্মস্থল রেস্তোরাঁ, ক্লিনিং সেক্টর, সার্ভিস সেক্টর, নির্মাণ সেক্টর, কল কারখানায় ভ্যাকসিন নিয়ে যোগদান করছেন। এই ক্রান্তিলগ্নে দেশটির সরকার স্বাভাবিক পরিস্থিতি পূনরুজ্জীবিত করতে লকডাউনের সব নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি প্রত্যাহার না করে ধীরে ধীরে কিছু কিছু নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে।

এর অংশ হিসেবে রাজধানীর কুয়ালালামপুর, সেলেঙ্গর ও প্রশাসনিক এলাকা পুত্রাজায়া থেকে কিছু শর্তসাপেক্ষে সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল সাবরী ইয়াকুব গত ১০ সেপ্টেম্বর দীর্ঘ সাড়ে তিনমাস পর এই লকডাউন শিথিলের ঘোষণা দেন।

মালয়েশিয়ায় করোনা পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। সাড়ে ৩ কোটির জনসংখ্যার দেশে প্রতি ২৪ ঘন্টায় ১৮ থেকে ২৪ হাজার সংক্রামিত হচ্ছে। গতকাল ১২ সেপ্টেম্বর ২৪ ঘন্টায় ৫৯২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। জাতীয় অর্থনীতি পুনরুদ্ধার ও মানুষের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক করতে সরকার ফেজ ১, ফেজ ২ ও ফেজ ৩ নামে বৃহত্তর কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। ধাপে ধাপে এগুলো বাস্তবায়ন করে মালয়েশিয়া জনগনের স্বাভাবিক জীবনে ফেরার চেষ্টা অব্যাহত আছে।

মহামারী ব্যাবস্থাপনার বিশেষ কমিটির এক বৈঠকে এ স্বিদ্ধান্তে পর্যায়ক্রমে অন্যন্যা রাজ্যগুলোকে ফেজ ১ এর আওতায় এনে মানুষজনের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক করা হচ্ছে।

সাধারণ সংক্রমণ এলাকা হিসেবে রাজধানীর বড় শহর সেলাঙ্গর, কুয়ালালামপুর ও পুত্রজায়াকে একত্রিত করে তাদের মধ্যে স্বাভাবিক চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে এবং আর কোনও বাধা থাকবে না, তাদের বাইরে বের হতে পুলিশের কোন অনুমতির প্রয়োজন নেই, যেসব স্থানে রোডব্লক রয়েছে সেসব স্থান থেকে রোডব্লক সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

যারা ফুল ডোজ টিকা দিয়েছেন সে সমস্ত দম্পতিরা এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে যেতে পারবেন তাদের সন্তানদের দেখাশোনা করার জন্য। তাছাড়াও রাজ্যের খেলাধুলা, বিনোদন কেন্দ্র, পর্যটন স্পট গুলো খুলতে পারবেন। রেস্তোরাঁ, বাণিজ্য ও বিতরণ খাত, ফুল বিক্রেতাদের দোকান, নার্সারি, বহিরাঙ্গন সরঞ্জামের দোকান, হাউজিং গ্যালারি, নাপিত, হেয়ারড্রেসার এবং বিউটি সেলুন ইত্যাদি এতদিন বন্ধ থাকার পর খুলে দেওয়া হয়েছে।

বার্তা বাজার/এসজে

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর