তরুণ সংগীতশিল্পী আফতাব উদ্দিনের নতুন গান

তরুণ সংগীতশিল্পী আফতাব উদ্দিন এক বছর বিরতির পর নতুন গান নিয়ে হাজির হচ্ছেন। আরএনবি শিল্পী হিসেবে ২০১৬ সালে আলোচনায় আসেন তিনি। এরপর কিছুটা সময়ের বিরতি নিয়ে অনেকটা সময় পর ফিরলেন গানে।

এর আগে তিনি ‘স্যাড বেবি’ এবং ‘ম্যান গান’ দিয়ে রেকর্ডিং জগতে প্রবেশ করেছিলেন। এই বছর তার ‘বাউন্সি ক্র্যাশ ও কারাবেশী’ শিরোনামের নতুন গানটি অনলাইনের সমস্ত প্ল্যাটফর্মে পাওয়া যাবে। বরাবরের মতো, তিনি নিজেই সুর ও সংগীত করেছেন। গানগুলো শিল্পীর ভেরিফাইড ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পেয়েছে। এ গানের কথা ও সুর করেছেন আফতাব নিজেই।

তরুণ এই সংগীতশিল্পীর আগের গানগুলোতে কিছুটা ভিন্নতা থাকায় দারুন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলো। তবে সেই সময়টাতে ভিডিও না থাকায় গানগুলো শুধু অডিওতেই সীমাবদ্ধ ছিলো।

এ ব্যাপারে তিনি বলেছিলেন, ২০১৮ থেকে শ্রোতাদের চাহিদা অনুযায়ী সব গানের ভিডিও প্রকাশ করা হবে। আর যদি পর্যাপ্ত সময় থাকে তবে আমি আগের গানগুলির একটি অফিসিয়াল ভিডিও তৈরি করব। সেইসাথে তিনি আর ও জানান পেশায় কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হলেও ভবিষ্যতে সঙ্গীত নিয়ে ক্যারিয়ার গড়তে চাই।

নতুন গান প্রসঙ্গে সংগীতশিল্পী আফতাব উদ্দিন বলেন, আগের গানগুলোর মতো এই গানটিও আরএনবি ফরম্যাটে থাকবে। আশা করছি, সবার ভালো লাগবে।শ্রোতাদের ভাল কাজ উপহার দেওয়াই একমাত্র উদ্দেশ্য আমার। এজন্য সব সময় চেষ্টা করি নতুন রকমের সংগীত শ্রোতাদের উপহার দেওয়ার। ভবিষ্যতে ইডিএম নিয়ে কাজ করার পরিকল্পনা আছে।

আফতাবের শৈশব কেটেছে বগুড়ায়। ছোটবেলা থেকেই লেখাপড়ার পাশাপাশি সঙ্গীত চর্চা করেন তিনি।বর্তমানে পড়ালেখা করছেন ঢাকার প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এর কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগে।

সঙ্গীত নিয়ে কাজ করার পাশাপাশি ডিজিটাল মার্কেটিং এ কাজ করছেন তরুণ এই উদ্যোক্তা। কর্মসংস্থান সঙ্কটের চলতি সময়ে চাকরির আশায় বসে না থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে মাত্র ১৯ বছর বয়সেই অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছেন আফতাব উদ্দিন। নিজে স্বনির্ভর হওয়ার পাশাপাশি অসংখ্য তরুণ এর জন্য কাজের সুযোগ সৃষ্টি করেছেন এই তরুণ। তার সফলতা দেখে এখন আরও অনেক তরুণই এই পেশায় আগ্রহী হয়ে সাফল্যর সহিত কাজ করছে।

বর্তমান যুগের ডিজিটাল মার্কেটিংকে বিশাল সম্ভাবনার ক্ষেত্র বলে মনে করেন আফতাব উদ্দিন। তিনি বলেন দিন দিন এর গুরুত্ব বাড়ছে। নিজের শুরুতে পার করেছি অনেক বাধা বিপত্তি তবু ও দমে যায়নি।তাই ডিজিটাল দুনিয়ায় কাজ করতে আসা তরুণরা যেন বাধার সম্মুখীন না হয় সেইজন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। সততা, একাগ্রতা, কাজ এবং পরিশ্রম মানুষকে সফল বানায়।সততার সাথে কাজ করলে সাফল্য আসবেই।

ডিজিটাল চ্যানেল ব্যাবহার করে পণ্যের সঠিক প্রমোশন করাই হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং। এর মধ্য সোশ্যাল মিডিয়া,সার্চ ইঞ্জিন ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং, সাইবার নিরাপত্তা ইত্যাদি।প্রথাগত চাকরির বাজারে ছুটতে ছুটতে জীবনের অর্ধেক সময় পার হয়ে যায় বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের। তাই বর্তমান সময়ে তাল মিলাতে চলতে চাইলে প্রথাগত চিন্তাভাবনা ছেড়ে ভাবতে হবে নতুন কিছু এইদিক থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং একটি সম্ভাবনাময় পেশা।

বার্তা বাজার/টি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর