আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় ম্যাচ ফিক্সিংয়ের খবর

বিশ্বকাপে আফগানিস্তান পাকিস্তান ম্যাচ ছিল উত্তেজনায় ঠাসা। মাঠের খেলায় তো বটেই, মাঠের বাইরেও ছড়িয়ে পড়ে এ উত্তেজনা। দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে কয়েক দফায় সংঘর্ষও হয়।

এবার ম্যাচটি নিয়ে আরো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে। আর তা হল-ম্যাচটি নাকি ফিক্সিং হয়েছে!সেমিফাইনালের দৌড় থেকে অনেক আগেই ছিটকে গেছে আফগানিস্তান। তাই এখন আর তাদের হারানোর কিছুইনেই। কিন্তু পাকিস্তানের হারানো কিংবা পাওয়ার অনেককিছুই আছে। এমন অবস্থায় মুখোমুখি হয়েছিল দুদল।

ম্যাচের রঙ পাল্টেছে বারবার। জয়ের পাল্লা কখনো পাকিস্তানের দিকে আবার কখনো আফগানিস্তানের দিকে ঝুকেছে। তবে ম্যাচের শেষ দিকে এসে আফগানিস্তানের জয়ের সম্ভাবনাই বেশি দেখা যাচ্ছিল। শেষে নাটকীয় এক জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পাকিস্তান। আর সেখানেই তৈরি হয় প্রশ্ন। এই ম্যাচে কি কোনো অসামঞ্জস্য কিছু লক্ষ্য করা গেছে? আর সেখান থেকে উঠেছে ম্যাচ ফিক্সিং বা পাতানোর অভিযোগ।

অভিযোগের তীরটা আফগান অধিনায়ক গুলবাদিন নাইবের দিকেই। আর এ নিয়েও খবর প্রকাশ করেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ও খেলা বিষয়ক ওয়েবসাইট। গুলবাদিন নাইবের কঠোর সমালোচনা করে তার বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি জানিয়েছে আইসিসির কাছে।

ফক্স স্পোর্টসের প্রতিবেদনে বলা হয়, আফগান অধিনায়ক গুলবাদিন নাইব পাকিস্তানকে ম্যাচটি উপহার দিয়ে এসেছেন। প্রতিবেদনে ফিক্সিংয়ের অভিযোগ নিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীদের পোস্টগুলোও তুলে ধরা হয়। দ্যা টেলিগ্রাফ একই ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে পাকিস্তানের জয়কে নাটকীয় জয় বলে উল্লেখ করা হয়।

প্রতিবেদনগুলোতে বলা হয়, আফগানিস্তানের স্পিনাররা যখন ম্যাচের পাকিস্তানকে কোনঠাসা করে ফেলেছিলেন ঠিক তখন গুলবাদিন পাকিস্তানের ৪৬তম ওভারে বল করতে এসে ৬ বলে ১৮ রান দিয়ে পাকিস্তানের হাতেই মূলত ম্যাচটি দেয়ে দেন।

অন্যদিকে দলের মুজিবুর রহমান ১০ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন, মোহাম্মাদ নবীও ১০ ওভারে ২৩ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন, রশিদ খান ১০ ওভারে ৫০ রানে ১ উইকেট পেয়েছেন এবং সামিউল্লাহ শেনওয়ারি ৮ ওভার বল করে ৩২ রান দিয়েছেন। সেখানে গুলবাদিন ৯.৩ ওভার বল করে ৭৩ রান দেন। উইকেট তো পানই নাই।

আবার পাকিস্তানের ইনিংসের ৫০তম ওভারে জয়ের জন্য যখন শেষ ৬ বলে ৬ রান দরকার, তখন গুলবাদিন একটি সহজ রান আউটের সুযোগও মিস করেন। সঙ্গ দেন অতিরিক্ত একটি ওভারথ্রো রান। ম্যাচের এমন মুহূর্তে একজন দায়িত্বশীল অধিনায়কের আচরণ প্রশ্নবিদ্ধ করেছে বলে অনেকে অভিযোগ করেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘দ্য প্রিন্ট’-এর প্রধান সম্পাদক শেখর গুপ্ত টুইটারে লিখেন, আফগানিস্তানের উচিত তাদের অধিনায়ককে ছাঁটাই করা। দলকে জয়ের পথ তৈরি করে তিনি তারকা হতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি। এত বাজে ও স্বার্থপর অধিনায়ক কখনো দেখিনি।