অন্তঃসত্ত্বা নারীর পেটে আ’লীগ নেতার লাথি : নবজাতকের মৃত্যু

মাগুরার মহম্মদপুরে অন্তঃসত্ত্বা নারীর পেটে লাথি দেয়ায় নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় মামলার দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি মানববন্ধন ও সমাবেশ পালিত হয়েছে। ঘটনাটি সঠিক তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতার আনার দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।

গত শনিবার বিকেলে উপজেলার নারিকেল বাড়িয়া এলাকায় সড়কে মামলার প্রধান আসামী নারিকেলবাড়িয়া গ্রামের নব্য আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ সিকান্দার আলীর পক্ষে মামলা মিথ্যা দাবি করে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করে এলাকাবাসী। অন্যদিকে রোববার পলাশবাড়ীয়া ইউনিয়নের গাজির মোড় এলাকায় বিকালে মামলার বাদির পক্ষে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ সিকান্দারের ফাঁসির দাবিতে ও দোষীদের বিচার চেয়ে পাল্টাপাল্টি মানববন্ধন ও সমাবেশ করে এলাকাবাসী।

শনিবারের মানববন্ধনে পলাশবাড়ীয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এমডি গোলজার রহমান, সাধারণ সম্পাদক ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার রেজাউর রহমান রিজু, সাবেক ইউপি সদস্য আ: ওয়াদুদ ও ঠিকাদার এবিএম কামাল আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

অন্যদিকে রোববারের মানববন্ধনে পলাশবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম, সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল করিম চুন্ন ও যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

উল্লেখ্য, গত ১৪ জুন তারিখে বাঁশ বিক্রয়ের পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ সিকান্দার আলীর বিরুদ্ধে নারিকেলবাড়িয়া এলাকায় দলবল নিয়ে ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা মুক্তা পারভিনের পেটে লাথি দেয়ার অভিযোগ ওঠে। মুক্তাকে প্রথমে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে গত ২২ জুন তিনি কম ওজনের একটি কন্যা সন্তান প্রসব করেন। কিন্তু চারদিন পরই নবজাতকের মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় শিশুটির বাবা মোসলেম আলী মোল্যা আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ সিকান্দার আলি এবং তার সহযোগী ৬ জনকে অভিযুক্ত করে মহম্মদপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। কিন্তু মামলার পর মহম্মদপুর থানা পুলিশ এখন পর্যন্ত কোন আসামিই গ্রেফতার করতে পারেনি।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর