কৃষকের কাছে ৫ হাজার ৭৪১ মেট্রিক টন বোরো ধান কেনার নির্দেশ

তারিকুল ইসলাম,জেলা প্রতিনিধি: শেরপুরে কৃষকদের কাছ থেকে ন্যায্য মূল্যে আরো প্রায় ৫ হাজার ৭৪১ মেট্রিক টন বোরো ধান ক্রয় করা হবে। এ ব্যাপারে খাদ্য অধিদপ্তর থেকে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দপ্তরে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. ফরহাদ খন্দকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গত ১৯ মে থেকে শেরপুর জেলায় আনুষ্ঠানিকভাবে চলতি বোরো মৌসুমে ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে প্রথম পর্যায়ে জেলার সদর, নালিতাবাড়ী, নকলা, শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতী উপজেলায় কৃষকদের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত ২৬ টাকা কেজি মূল্যে ৭ হাজার ৯২১ মেট্রিক টন বোরো ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। গত ২৬ জুন বুধবার পর্যন্ত এই পাঁচ উপজেলায় ১ হাজার ৬০৬ মেট্রিক টন বোরো ধান ক্রয় করা হয়েছে। বোরো ধান উৎপাদনের খরচ পুষিয়ে নিতে কৃষকদের কাছ থেকে খাদ্য বিভাগ আরো ৪ হাজার ৯৫১ মেট্রিক টন ধান ক্রয় করবে। এর মধ্যে শেরপুর সদরে ২ হাজার ১০৯, নালিতাবাড়ীতে ৯৫৩, নকলায় ৭৭২, শ্রীবরদীতে ১ হাজার ১৮৫ ও ঝিনাইগাতী উপজেলায় ৭২২ মেট্রিক টন ক্রয় করা হবে।

৩০ জুন রোববার শেরপুর সরকারি খাদ্য গুদামে গিয়ে দেখা যায়, কয়েকজন কৃষক ৭ থেকে ৮টি ট্রলি ও ট্রাক বোঝাই করে ধান গুদামে নিয়ে এসেছেন। এ সময় খাদ্য বিভাগের কর্মীরা ধান ওজন করে পাটের তৈরি নির্ধারিত বস্তায় ভরে গুদামজাত করছেন। এব্যাপারে শেরপুর এলএসডি’র সংরক্ষণ ও চলাচল কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন হোসেন জানান কৃষকদের কাছ থেকে মানসম্পন্ন ধান ক্রয় করা হচ্ছে।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. ফরহাদ খন্দকার বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের তৈরি করা প্রান্তিক কৃষকদের তালিকা অনুযায়ী কৃষিকার্ড ও জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই-বাছাই করে তাঁদের নিকট থেকে ধান ক্রয় করা হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রাপ্ত বরাদ্দের পরিমাণ অনুযায়ী তালিকাভুক্ত প্রতি কৃষকের কাছ থেকে সর্বোচ্চ এক মেট্রিক টন ধান ক্রয়ের চিন্তাভাবনা চলছে। এ ব্যাপারে উপজেলা ধান-চাল ক্রয় কমিটি সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে এসব ধানের আর্দ্রতা ১৪ শতাংশের নিচে থাকতে হবে। আগামি ৩০ আগষ্ট পর্যন্ত সংগ্রহ কার্যক্রম চলবে বলে তিনি জানান।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, শেরপুরের উপপরিচালক মো. আশরাফ উদ্দিন বলেন, চলতি মৌসুমে শেরপুর জেলায় ৯১ হাজার ৭২ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ করা হয়েছিল। এর বিপরীতে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩ লাখ ৮৫ হাজার মেট্রিক টন চাল। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও পোকার আক্রমণ না হওয়ায় এবার জেলায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর