বসতঘরে সাপের আস্তানা

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের শামুকখোলা গ্রামের একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষক সৈয়দ মিজানুর রহমানের বসতঘরের মেঝেতে এক জোড়া বিষধর গোখরা সাপ অন্তত ৪৫টি বাচ্চা ফুটিয়ে ছিলো। বাচ্চাগুলো বেশ বড় হয়ে উঠেছিলো।

বাড়ির মালিক টের পাওয়ার পর শনিবার দুপুরে ঘরের মেঝের মাটি খুঁড়ে একে একে সব সাপ মারা হয়েছে। এসময় বেশ কিছু সাপের ডিমও ধ্বংস করা হয়েছে।

মিজানুর রহমান জানান, শনিবার দুপুরে বাড়ির উঠানে একটি গোখরা সাপের বাচ্চাকে মুরগি ঠোকাচ্ছিলো। সাপের বাচ্চা দেখে সন্দেহ হয় যে, ঘরের কোথাও সাপে বাচ্চা ফুটিয়েছে। সেই ধারণা থেকে প্রতিবেশিদের সঙ্গে নিয়ে ঘরের মেঝে খোঁড়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে সাপের আস্তানার সন্ধান মেলে।

সাপের আস্তানার সন্ধান পাওয়ার পর ৭ফুট লম্বা একটি বড় গোখরা সাপ (মা সাপ) ফুসে ওঠে। তখন লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে সাপটি মারা হয়। এসময় গর্তের মধ্যে থাকা অসংখ্য সাপ লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মারা হয়েছে। সব মিলিয়ে ৪০-৪৫টি সাপ মারা হয়েছে।

সরুশুনা দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক রাজীব হোসাইন বলেন, সাপের সন্ধানের খবর শুনে আমরাও সৈয়দ মিজানুর রহমানের বাড়িতে ছুটে যাই। তখন আমরাও সাপ মারতে শুরু করি। একটি মা সাপ যার দৈর্ঘ্য হবে কমপক্ষে ৭ফুট। এছাড়া দেড় থেকে দুই ফুট আকৃতির অন্তত ৪০-৪৫টি বাচ্চা সাপ মারা হয়। এছাড়া অনেকগুলো সাপের ডিম ধ্বংস করা হয়।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর